শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে মহানগরীর নানকিং দরবার হলে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ২০১৩ সালে দায়িত্ব ছাড়ার সময় উদ্বৃত্ত রেখে গেছি, কিন্তু গত পাঁচ বছরে দেনায় পড়েছে সিটি করপোরেশন।
মেয়র আরও বলেন, ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার একান্ত আলাপ হয়েছে। তাকে আমি অনুরোধ করেছি রাজশাহীর উন্নয়নে অনেকগুলো প্রকল্প অনুমোদন দিতে, যেগুলো একসঙ্গে আমি পাঠাবো। তিনি বলেছেন, রাজশাহীর উন্নয়নে প্রকল্পের কোনো অভাব হবে না।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও ক্ষমতায় আসবেন। কারণ উন্নয়ন করতে হলে, উন্নয়ন চাইলে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।
নগরভবনে দলবাজি চলবে না জানিয়ে মেয়র লিটন বলেন, বিগত সময়ে নগরভবনে দলবাজি করতে দেইনি, আগামীতেও কোনো দলবাজি চলতে দেওয়া হবে না। সংসদ সদস্য বাদশাসহ আমরা সবাই হাতে-হাত রেখে একজোট হয়ে রাজশাহীর কল্যাণে কাজ করবো। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে পথ চলতে চাই।
অনুষ্ঠানে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, খায়রুজ্জামান লিটন যতোদিন মেয়র ছিলেন, রাজশাহীর উন্নয়ন ততদিন বেগমান ছিল। রাজশাহীকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটা উন্নত মহানগরী হিসেবে পরিচিত করার যে কৃতিত্ব সেটা তিনি রাজশাহীবাসীকে দিয়েছেন। এটি খায়রুজ্জামান লিটনের কৃতিত্ব, কিন্তু এ কৃতিত্বের ভাগিদার আমরা সবাই হয়েছি। তিনি গত ৫ বছর ছিলেন না, এতে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল। এ ৫টি বছর লিটন ভাইয়ের শূন্যতা অনুভব করেছি। শূন্যতাপূরণ হওয়ায় আমি নিজের দিক থেকে প্রশান্তি পাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন পত্নী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেনী, সংসদ সদস্য বাদশা পত্নী অধ্যাপিকা তাছলিমা বেগমসহ রাসিকের সব কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলররা।
বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮
এসএস/এএইচ/ওএইচ/