ফলে দফতর থেকে শুরু করে ঝকঝকে তকতকে এখন পুরো নেত্রকোনা শহর। বছরের পর বছর যেসব সড়ক ছিলো ভাঙাচোরা, রাষ্ট্রপতির আগামনকে কেন্দ্র করে সেরে ওঠছে ঘণ্টা ব্যবধানে।
পাশাপাশি পৌর শহর থেকে উচ্ছেদ করা হয় ফুটপাত দখলকারীদের। ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে ধুয়ে-মুছে ঝকঝকে করে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি সড়ক। চাইলেও এখন আর কেউ যেখানে-সেখানে উচ্ছিষ্ট কোনো কিছু ফেলতে পারছে না। যানবাহন চলাচলেও আনা হয়েছে শিথিলতা। এখন একবারেই যানজটমুক্ত একটি শহর নেত্রকোনা।
রাষ্ট্রপতির আসার খবর জেনে রাতারাতি এতো বদলে যাওয়া নেত্রকোনা শহর দেখে উচ্ছ্বসিত শহরবাসী। সব মিলিয়ে পুরো শহরজুড়ে যেন এক উৎসবমুখর পরিবেশ বইছে।
শহরের মোক্তারপাড়া, কো-অপারেটিভ ব্যাংক এলাকার বাসিন্দা আইনজীবী নূর ই এলাহি খান ও মানবেন্দ্র বিশ্বাস উজ্জ্বল বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমান শহর পরিস্থিতি দেখে নিজের জেলাকে নিয়ে ভীষণ গর্ব হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি আসবেন বলে শহরকে যেভাবে সাজানো-গোছানো হয়েছে, আমরা সত্যি তাতে অভিভূত।
বছরে অন্তত একবার যদি নেত্রকোনায় আসতেন রাষ্ট্রপতি, তবে স্বপ্নের শহর হয়ে যেতো নেত্রকোনা যোগ করেন- ওই আইনজীবীরা।
এদিকে, নেত্রকোনার পুলিশ সুপার (এসপি) জয়দেব চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, রাষ্ট্রপতি নেত্রকোনায় সফরকালে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবিশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। পরে আন্তর্জাতিক লোক সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে ঢাকায় ফিরে যাবেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তায় দেড় হাজারেরও বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মাঠে কাজ করছেন বলেও জানান পুলিশের ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৮
আরবি/