বুধবার (৩ অক্টোবর) সকালে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙন কবলিত চরজানাজাত ও সন্যাসীরচরসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন পাউবো ডিজি।
এসময় তিনি নদী ভাঙনরোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় বালুর বস্তা ফেলে অস্থায়ী সমাধানের নির্দেশ দেন কর্মকর্তাদের।
ডিজি মাহফুজুর রহমান বলেন, সারাদেশে ২৪ হাজার কিলোমিটার নদী আছে। এই অংশটি পদ্মাসেতুর নদীশাসন বাঁধের কাছাকাছি হওয়ায় অনেক ভাঙছে। অপরদিকে আড়িয়াল খাঁ নদও ব্যাপক ভাঙছে। এ দুটি নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখলাম। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে যতো দ্রুত সম্ভব নদী ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধানের কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী একে এম ওয়াহেদ চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম, মাদারীপুর নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহাসহ অন্যরা।
জান যায়, চলতি বছর পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদ ভাঙনে জেলার শিবচর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের সাড়ে ৮ শতাধিক ঘর বাড়ি, পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিক, তিনটি ব্রিজ কালভার্ট, দু’টি হাট-বাজার, শতশত বিঘা ফসলি জমি ও পাকা সড়ক বিলীন হয়েছে।
চলতি বছর পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর ভাঙনে শিবচর উপজেলার চরজানাজাত, কাঁঠালবাড়ী, বন্দরখোলা ও সন্যাসীরচর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ জনপদ বিলীন হয়ে যায়। বিলীন হয়েছে চরজানাজাতের ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মালেক তালুকদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মজিদ সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বন্দরখোলার ৭২ নম্বর নারিকেলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম ফকিরকান্দি রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। পদ্মা নদীর ভাঙনে এ পর্যন্ত চরাঞ্চলের তিন ইউনিয়নের পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আট শতাধিক ঘরবাড়ি, ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিক, তিনটি ব্রিজ কালভার্ট, শতশত বিঘা ফসলি জমি ও পাকা সড়ক বিলীন হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৮
জিপি