বুধবার (৩ অক্টোবর) দিনগত রাত আনুমানিক পৌনে ১টার দিকে উপজেলার উত্তর আলগী ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামের বেপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ঝলসে যাওয়া শিশু নুসরাত ওই বাড়ির মো. শফিক বেপারীর মেয়ে।
বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) সকালে দগ্ধ শিশুটি বাবা শফিক বেপারীর সঙ্গে এ বিষয়ে কাথা হয়।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, একই বাড়ির আবু সাঈদ বেপারী তার চাচাত ভাই। তাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন আড়াই শতাংশ সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। আর এ বিরোধকে কেন্দ্র করে রাতে আবু সাঈদ, তার ভাই কুদ্দুছ ও ঈমান হোসেন সংঘবদ্ধ হয়ে তার ঘরের আড়ার নিচ দিয়ে পেট্টোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে যায় এবং শিশু নুসরাতের শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়।
নুসরাতের মা হালিমা বেগম জানান, ঘরের সবাই রাতের খাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়েন। আগুনের তাপে জেগে উঠেন। এসময় তার শিশু মেয়েটি আগুনে পুড়ে যায়। চিৎকার করেল বাড়ির অন্যান্য লোকজন এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে শিশুকে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িত ওই বাড়ির মৃত আলী হোসেনের তিন ছেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনোজিত রায় বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে আগে তিনি অবগত ছিলেন না। খবর পেয়ে দুপুরের দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো ধরনের অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৮
জিপি