বৃহস্পতিবার (০৪ অক্টোবর) দুপুরে মেয়র তার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) ফরিদুল ইসলামকে দিয়ে বরিশালের প্রধান ডাকঘর থেকে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী বরাবর এ পদত্যাগপত্রটি পাঠান।
এরপর বিকেলে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিএস ফরিদুল ইসলাম।
তবে সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক ও সাধারণ শাখা এ সংক্রান্ত কোনো পত্র এখনো পায়নি বলে জানায়। এ ধরনের চিঠি মন্ত্রণালয় হয়ে করপোরেশনে আসবে বলে জানিয়েছেন মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী।
এদিকে, মেয়র তার পত্রে উল্লেখ করেছেন, বরিশাল সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নাগরিকের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, গত ১৩ জুন থেকে সিটি করপোরেশনের দৈনন্দিন দাফতরিক ও অর্থনৈতিক কাজ করতে পারছি না। করপোরেশনের তহবিলে অর্থ থাকা সত্ত্বেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা, গাড়ির জ্বালানি সরবরাহ ও বিল পরিশোধ, রাস্তার বৈদ্যুতিক বাতি সরবরাহ ও বিল পরিশোধ, রাস্তাঘাট সংস্কার ও মেরামত করতে বাধা পাই। এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ করা অর্থ পাওয়ার পর ব্যাংকে জমা থাকা সত্ত্বেও নির্ধারিত সময়ে অর্থাৎ ৩০ জুনের মধ্যে ঠিকাদারদের পরিশোধযোগ্য বিল পরিশোধ করতে পারিনি বাধার কারণে।
এই অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে নাগরিক সেবা দিতে না পাড়ায় আমি মেয়র পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে কামালের মোবাইলে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার পিএস ফরিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, মেয়র পদত্যাগপত্র ডাকযোগে পাঠানোর পরই ঢাকার উদ্দেশে চলে গেছেন।
২০১৩ জুলের ১৫ জুনের নির্বাচনে আহসান হাবিব কামাল মেয়র নির্বাচিত হন। ২৩ অক্টোবর চলতি সিটি পরিষদের মেয়াদ উত্তির্ণ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৮
এমএস/টিএ