এই র্যাপিড পাস ব্যবহার করে নিজের গন্তব্য অনুযায়ী চলাচল করা যাবে। ধরুন আপনি মতিঝিল থেকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) এসি বাসে উঠলেন খিলক্ষেত নামবেন বাসে উঠার আগে পাস কার্ড পাঞ্চ করে উঠবেন আবার নামার সময় পাঞ্চ করে নামবেন।
নাগরিক সেবাদানের এই উদ্যোগ চতুর্থ উন্নয়ন মেলাতেও দেওয়া হচ্ছে। উন্নয়ন মেলা ছাড়া অন্যদিনেও সংগ্রহ করা যাবে র্যাপিড পাস কার্ড। এজন্য আপনাকে যেতে হবে ডাচ বাংলা ব্যাংকের নির্ধারিত আটটি শাখায়। ডাচ বাংলা ব্যাংকের যেসব শাখা থেকে পাস পাওয়া যাবে তা হচ্ছে-মতিঝিল লোকাল অফিস শাখা, মতিঝিল বৈদেশিক বিনিময় শাখা, এলিফ্যান্ট রোড, উত্তরা, বনানী, গুলশান সার্কেল-১, গুলশান ও সোনারগাঁও জনপথ শাখা। এই শাখাগুলো থেকে নতুন কার্ড সংগ্রহ ছাড়াও রিচার্জ করা যাবে।
সেবাদানকারী বাসের ১০টি কাউন্টারেও নতুন কার্ড সংগ্রহ ও রিচার্জ করা যাবে। যেসব কাউন্টারে রিচার্জ করা যাবে সেগুলো হচ্ছে- হাউজ বিল্ডিং, উত্তরা, বনানী, শাহবাগ, মতিঝিল, রামপুরা, নতুন বাজার, গুলশান-২, শ্যুটিং ক্লাব, ঢাকা চাকা বনানী স্টপেজ ও পুলিশ প্লাজায়।
উন্নয়ন মেলায় অংশগ্রহণকারী র্যাপিড পাস কার্ড বিতরণকারী সংস্থার জুনিয়র কনসালটেন্ট মোবাশ্বের হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, অন্যদিনেও কার্ড সংগ্রহ করা যাবে। মেলায় আসার উদ্দেশ্য মানুষের মধ্যে বিষয়টি ব্যাপকভাবে তুলে ধরা। এখানে কার্ড নিতে ঝামেলাও কম।
র্যাপিড পাস কার্ড সংগ্রহ করতে যা লাগবে: এক কপি পাসপোর্ট ছাইজের ছবি, আর ৪০০ টাকা হলেই পেয়ে যাবেন র্যাপিড পাস কার্ড। এই ৪০০ টাকার মধ্যে ২০০ টাকা কার্ডের মূল্য বাবদ কেটে রাখা হবে। বাকি ২০০ টাকা ভাড়া হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এরপর প্রয়োজন অনুযায়ী রিচার্জ করে কার্ড ব্যবহার করা যাবে। রিচার্জের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করা যাবে।
চাইলে কার্ড ফেরত দিয়ে ২০০ টাকা ফেরতও নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে রিফান্ড ফি বাবদ ১০ টাকা কেটে নেওয়া হবে। এই সেবা নিয়ে রাজধানীতে নির্বিঘ্নে চলাচল করা যাবে। বর্তমান বিআরটিসি’র এসি বাস, ঢাকার চাকা ও হাতিরঝিলে চলাচলকারী বাসে ব্যবহার করা হলেও শিগগিরই আরও ছয়টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৮
এসএম/আরআর