ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

তফসিল ঘোষণার আগে সংলাপের যৌক্তিকতা নেই 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৮
তফসিল ঘোষণার আগে সংলাপের যৌক্তিকতা নেই  বক্তব্য দিচ্ছেন ওবায়দুল কাদের। ছবি: জিএম মুজিবুর/বাংলানিউজ

ঢাকা: নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সংলাপের দাবি অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

তিনি বলেছেন, তফসিল ঘোষণার আগে সংলাপের দাবি অবাস্তব, অযৌক্তিক ও অপ্রয়োজনীয়। দেশে এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি যে সংলাপে বসতে হবে।

নির্বাচনের জন্য যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দরকার, সেই পরিবেশ সারাদেশে বিরাজমান। সংবিধান অনুযায়ী-ই নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।  
 
সোমবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কেআইবি অডিটোরিয়ামে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০১৮ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  

ওবায়দুল কাদের বলেন, নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে যাবে। এটা নির্বাচন কমিশনের মোটামুটি সিদ্ধান্ত। তফসিলের আগে ঐক্যফ্রন্ট আলোচনা সংলাপে বসার দাবি জানিয়েছে, তফসিল ঘোষণার জন্য সব মিলিয়ে ১৫ দিনের বেশি নেই। কাজেই তফসিল ঘোষণার আগে এই সময়ে আলাপ, আলোচনা বা সংলাপের দাবি অবাস্তব, অযৌক্তিক, অপ্রয়োজনীয়। দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি নেই যে একটা অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করছে সেই জন্য সংলাপ করতে হবে।  

‘নির্বাচনের জন্য যে পরিবেশ-শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দরকার সেই পরিবেশে সারাদেশে বিরজমান। কাজেই যেখানে শান্তির পরিবেশ বিরজমান সেখানে সংলাপের দাবি বাড়তি ঝামেলা। এই সময়ে এ বাড়তি ঝামেলা সৃষ্টি করার কোনো যৌক্তিকতা নেই, বাস্তবতাও নেই। ’
 
ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা দাবি করেছেন ৭ দফার ভিত্তিতে আলোচনার। তাদের ৭ দফা ইস্যু নিয়ে আগেও বলেছি, এখনও বলছি এটা অবাস্তব, অযৌক্তিক এবং এর একটা দাবিও মেনে নেওয়ার মতো অবস্থা পরিস্থিতি এখন দেশে নেই। সংবিধান বর্হিভুত কোনো দাবি মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই। এমনকি এই মুহূর্তে সংবিধান সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই।
 
ঐক্যফ্রন্টের সভা সমাবেশ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, পুলিশ ইতোমধ্যে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে, দিয়ে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সভা-সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য সভা-সমাবেশের নামে, দাবি আদায়ের নামে বিএনপি যদি ২০১৪ সালের মতো সহিংসতা নাশকতার পথে যেতে চায় তাহলে দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা প্রতিরোধ করবো এবং পুলিশ প্রশাসন উদ্ধুত পরিস্থিতিতে সমচুতি জবাব দেবে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম।  

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদী স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ইকরামুল হাসান, নিরাপদ সড়ক চাই এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৮/আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা
এসএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।