ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস সিলগালা, জরিমানা ১৫ লাখ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৮
গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস সিলগালা, জরিমানা ১৫ লাখ গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসে চলছে অভিযান/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা (সাভার): সাভারে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মালিকানাধীন গণস্বাস্থ্য গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস সিলগালা করে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও এসময় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তিনজন ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে সাভারের বাইশ মাইল এলাকায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠান দু’টিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানের সময় গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসের অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন শাখাটি আলাদা না হওয়ায় এবং সেখানকার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ না করায় তা সিলগালা করে প্রতিষ্ঠানটিকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।



র‌্যাব হেড কোয়াটার্স, র‌্যাব-৪, সাভার উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও পুলিশ প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত অভিযানে র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলমকে সহযোগিতা করেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং নির্বাহী ম্যাজিস্টেট শেখ রাসেল হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রণব কুমার ঘোষ।  
মেয়াদোত্তীর্ণ উপকরণ
এছাড়া অভিযান চলাকালে গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসে অভিযানের সময় দেখা যায়, কাঁচামালের গুদামের দেওয়াল থেকে চুন খসে পড়ছে। কোনো কেমিক্যালসের বোতলে মেয়াদ লেখা নেই, রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের কোনো রেজিস্টার নেই, মেয়াদ উত্তীর্ণ রাসায়নিক দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরির নমুনা পাওয়া যায়।  

ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি বুঝতে পেরে মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের কেমিস্ট শিবুতোষ মালাকার বেশকিছু রাসায়নিকের বোতলের গায়ে থাকা মেয়াদ কলম দিয়ে কেটে সময় বাড়িয়ে দেন।  

অন্যদিকে প্যাথিডিন উৎপাদন দেখতে যাওয়ার সময় পরিকল্পিতভাবে সেখানকার বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে রাখাসহ বিভিন্নভাবে ভুল তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে অসহযোগিতা করেন গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসের গবেষণা, উন্নয়ন ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের ব্যবস্থাপক ডা. মোশরেকা খাতুন, উৎপাদন পরিচালক নিতিষ চন্দ্র চৌধুরী, উৎপাদন ব্যবস্থাপক বিনিতা বিলকিস ও কেমিস্ট শিবুতোষ মালাকার।  
গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম বলেন, দেশের ৯৫ শতাংশ বেসরকারি হাসপাতালে গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসের প্যাথিডিন ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আজ আমি এখানে এসে তাদের কার্যক্রম দেখে অত্যন্ত কষ্ট পেয়েছি। তাদের অ্যান্টিবায়োটিক শাখাটিকে আলাদা করার জন্য ছয় মাস আগে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে নোটিশ দেওয়া হলেও তারা সেটি অমান্য করেছে। এছাড়া ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া গেছে, যা থেকে বোঝা যাচ্ছে এসব ওষুধ খেয়ে প্রকৃতপক্ষে রোগীদের উপকার হচ্ছে না।  

অভিযান চলাকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক এটিএম গোলাম কিবরিয়া, ওষুধ পরিদর্শক নাহিন আল আলম, তাহমিদ জামিল, র‌্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর আব্দুল হাকিম, আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাবেদ মাসুদ প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৮
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।