রোববার (৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় মাহফিলের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তার অনেক আগে থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশে-পাশের এলাকাজুড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্কাবস্থান দেখা যায়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পোশাকধারী সদস্য, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), এপিবিএন, সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশসহ আয়োজক সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীদের সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয় সমন্বিত নিরাপত্তা বলয়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর চারপাশের এলাকায় দেখা যায় অতিরিক্ত পুলিশ ও এপিবিএনের বিপুলসংখ্যক সদস্যের অবস্থান। শাহবাগ ও টিএসসি মোড়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের সাঁজোয়া যান ও জলকামান। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি প্রবেশপথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান দেখা গেছে। এছাড়া প্রতিটি প্রবেশপথেই বসানো আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর ও সাধারণ তল্লাশির মধ্য দিয়ে মাহফিলস্থলে প্রবেশ করতে হচ্ছে প্রত্যেককে।
শাহবাগ মোড়, মৎস্য ভবন, দোয়েল চত্বর এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে সীমিত করা হয়েছে সব ধরনের যানবাহন চলাচল। আগেই সবাইকে বিকল্প পথ ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে ডিএমপি।
এ বিষয়ে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বাংলানিউজকে বলেন, জনসভায় বিপুল জনসমাগমের কথা মাথায় রেখে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা ‘হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমি বাংলাদেশ’র ব্যানারে আয়োজিত মাহফিলে সভাপতিত্ব করছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৮
পিএম/এইচএ/