রোববার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিআাতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘শুকরানা মাহফিলে’ বক্তৃতাকালে এ দাবি তোলেন আল্লামা মাসউদ। কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তরের স্বীকৃতি দেওয়ায় এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তরের স্বীকৃতি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে মাহফিলে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।
এর আগে দেওয়া বক্তৃতায় ‘আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিআাতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’র অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, ‘কোনো আলেমকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়নি। কওমি শিক্ষার প্রসারে আল্লামা আহমদ শফীর অবদান অনেক। তার অবদান বিবেচনায় তিনি স্বাধীনতা পদক পেতে পারেন। এবার তাকে স্বাধীনতা পদক দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। ’
প্রধানমন্ত্রীকে সম্মাননা জানানোর আগে তাকে ‘কওমি জননী’ উপাধি দেন ‘আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিআাতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’র সদস্য মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন।
অনুষ্ঠান মঞ্চে কওমি আলেম-ওলামাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৮
এমইউএম/টিএম/এইচএ/