শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন সুমন (৪০), তার স্ত্রী সাজুলি (৩৫), তাদের ছেলে নিশান (১৪) ও সুমনের ফুপু আতর বেগম (৭০) এবং একই বিল্ডিংয়ের দোতলার ভাড়াটিয়া আলমগীর (৩০) ও তার স্ত্রী কাজুলি (২৪)।
দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। বার্ন ইউনিটের কর্তব্যরত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক পুলিশ বক্সের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া জানান, এর মধ্যে সুমন ৩৮ শতাংশ, সাজলি ১৭ শতাংশ, নিশান, ৫০ শতাংশ ও অাতর বেগমের শরীরের ৭৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। আলমগীর ও তার স্ত্রী কাজুলি সামান্য দগ্ধ হয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদর দফতরের ডিউটি অফিসার রাশেদ শিকদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের চার ইউনিট পাঠাই। তবে আমরা যাওয়ার আগে আগুন নিভে যায়। গ্যাস লিকেজ ছিল। চুলা জ্বালাতে গেলে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হয়।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, ধলপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৪ নম্বর আউটফল আবাসিক এলাকার কোয়ার্টারে থাকতেন তারা। তারা সিটি কর্পোরেশনে পরিচ্ছন্নকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। পাশের বাসার শিশু তাহসান সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় দেয়াল ধসে তার গায়ের ওপর পড়লে তার মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৮
এজেডএস/আরআর