এ কথাগুলো বলেন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ‘কাউকে পেছনে ফেলে নয়’ শীর্ষক প্রান্তিক ও বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সুরক্ষা বিষয়ে দু’দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের দারিদ্র সম্পূর্ণ দূর করে দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে। কাজেই এখন বসে থাকার সময় নেই। প্রান্তিক ও বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে যাদের কর্মসংস্থান নেই, তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে জনশক্তিতে পরিণত করতে হবে। ’
বৃহস্পতি ও শুক্রবার (২২ ও ২৩ নভেম্বর) দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সোসাইটি ফর এনভারনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (সেড), পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি), খ্রিস্টিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি) এবং গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র (জিবিকে)।
প্রান্তিক ও বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীকে সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করে তাদের বর্তমান অবস্থান মানচিত্রায়ণ এবং তাদের সক্ষমতা অর্জনের বিভিন্ন প্রতিবন্ধবতা ও উত্তরণের ধাপ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রান্তিক ও বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর পক্ষে সারগর্ভ আলোচনায় অংশ নেন- বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজভজন কৈরী, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম, প্রখ্যাত লেখক ড. হরিশংকর জলদাস, সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ পরিসংখ্যা ব্যুরো এর প্রাক্তন পরিচালক ড. আবদুল ওয়াজেদ, টাঙ্গাইল মধুপুরের আচিক-মিচিক সোসাইটির পরিচালক সুলেখা মুরাং, বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) এর ভাইজ-চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল, গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র (বিটিএ) এর প্রধান নির্বাহী মোয়াজ্জেম হোসেন।
সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেড এর পরিচালক ফিলিপ গাইন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
দু’দিনে মোট ৮টি সমান্তরাল অধিবেশন চলবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আলোচ্য বিষয়গুলো হলো- চা জনগোষ্ঠী, আদিবাসী এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পরিচয়, ভাষা এবং সংস্কৃতি; চা জনগোষ্ঠী, আদিবাসী এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভূমির অধিকার; টেকশই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসজিডি) অর্জনে চা বাগানের মালিক ও শ্রমিকপক্ষের সংলাপ ও ঐক্য; বেদে, যৌনকর্মী, ঋষি, এবং আরো কিছু জাতিসত্তা (মুণ্ড, শব্দকর, পাত্র ইত্যাদি); প্রান্তিক ও বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সুরক্ষায় কর্মকৌশল নির্ধারণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি।
প্রতিদিন সন্ধ্যায় রয়েছে বিভিন্ন নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
বিবিবি/আরবি/