ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শৈলকূপায় বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট, ওসির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৮
শৈলকূপায় বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট, ওসির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাড়িঘর ভাঙচুর

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার ব্রাহিমপুর গ্রামে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনার জের ধরে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালের দিকে এ হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে। এসময় শৈলকুপা থানার ওসির ভূমিকা ছিল রহস্যজনক ও প্রশ্নবিদ্ধ।

গ্রামের একপাশে পুলিশের অবস্থান থাকলেও অন্যপাশে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট চলতে দেখা যায়।

গ্রামবাসীরা জানায়, শৈলকূপার উমেদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাব্দার হোসেন মোল্লা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান বাবুলের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার সকালে বাবুলের সর্মথকরা সাব্দার মোল্লার সমর্থক আমজেদ মোল্লাকে কুপিয়ে আহত করে। এরই জের ধরে সকাল থেকে দফায় দফায় সাব্দার মোল্লার সমর্থকরা ব্রাহিমপুর গ্রামের বাবুলের সমর্থক বজলু মোল্লা, নলু মোল্লা, রাজু, বদর উদ্দিন, নিজাম উদ্দিনসহ অন্তত ১০ জনের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে।  

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। পরবর্তীতে গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে গ্রামের একপাশে পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও অন্যপাশে চলে ভাঙচুর ও লুটপাট। জানা যায়, স্থানীয় মাতব্বর আবু বক্কার ওরফে বাক্কার নেতৃত্বে ভাঙচুর ও লুটপাট চলে।

ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আয়ুবুর রহমান ঘটনার কোনো গুরুত্ব দেয়নি। ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে দেখা গেলেও ওসি সাংবাদিকদের বলেন, তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।