ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মরে গেলেও নির্বাচন বর্জন করবো না: ড. কামাল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮
মরে গেলেও নির্বাচন বর্জন করবো না: ড. কামাল বক্তব্য রাখছেন গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল

ঢাকা: মরে গেলেও আসন্ন সংসদ নির্বাচন বর্জন করবো না বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হতে হবে।

আমি মারা গেলেও নির্বাচন বর্জন করবো না। আমার লাশ ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাবে। আঙুলটাতো থাকবে। ওটা দিয়েই ভোট দেবো। আমার লাশও নির্বাচন বর্জনের কথা বলবে না’।

ড. কামাল বলেন, ‘আমি ৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নির্বাচনের এজেন্ট ছিলাম। ৫৫ বছরের অভিজ্ঞতায় এমন পরিস্থিতি দেখিনি। সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা হচ্ছে। তারা যদি চায় এরকম জঘন্য আক্রমণ করলে আমরা আবেগের চোটে বলে দেবো নির্বাচন করবো না, এটা আমরা বলবো না। আমাদের লাশও বলবে না’।

‘ঢাকায় কেবল একটি দলের পোস্টার আছে। অন্য দলের প্রার্থীদের কোনো পোস্টার নেই। অনেক খারাপ-ভাল নির্বাচন দেখেছি। এমন দেখিনি’।

তিনি আরো বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বিব্রত হওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু এটা বিব্রত হওয়ার বিষয় না। আপনারা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিন। দু’দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট নিন। কেননা, এখন পর্যন্ত নিরপেক্ষ নির্বাচনের ন্যূনতম পরিবেশ নেই।

ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক বলেন, আ স ম আব্দুর রব প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলনকারী। তাকে আঘাত করা হয়েছে। তার গাড়ির চালকের মাথা ফেটে গেছে। গাড়ি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মী-প্রার্থী সবার ওপর হামলা করা হয়েছে। আমরা এগুলোর ছবি নির্বাচন কমিশনের কাছে দিয়েছি। বলেছি, সরকার এখন আপনাদের অধীনে। সরকারকে আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা আপনাদের আছে। প্রার্থীদের ওপর হামলা দ্রুত বন্ধ করুন।

তিনি বলেন, যতদিন বেঁচে আছি, এভাবেই কথা বলবো। এখন যে রকম প্রক্রিয়া চলমান আছে, এতে বঞ্চিত করার অপচেষ্টা চলছে। দ্রুত এগুলো বন্ধ করতে হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই সংবিধান প্রণেতা বলেন, নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা আছে, কিন্তু তারা কেন প্রয়োগ করছে না, তা আপনারা জিজ্ঞেস করুন।

সিইসি কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্য কমিশনার ছাড়াও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কাদের সিদ্দিক, আ স ম আব্দুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, নজরুল ইসলাম খান, ড. মঈন খান, মোস্তফা মহসিন মিন্টু, জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ অংশ নেনে।

এর আগে দুপুরে ২টায় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা ও নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার, তল্লাশির নামে তাদের বাসাবাড়িতে তাণ্ডব, আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের’ লিখিত অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।