দুই হাজার ১৮ বছর আগে জেরুজালেমের জন্ম হয়েছিল একটি শিশুর। সেই শিশুটির নাম রাখা হয়েছিল যিশু অর্থাৎ খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট।
মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন (ক্রিস্টমাস)। এদিন সরকারি ছুটির দিন। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আলাদা বাণী দিয়েছেন।
খ্রিস্টান ধর্মানুসারীরা বিশ্বাস করেন, যিশু ঈশ্বরের পুত্র। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও উৎসবমুখর পরিবেশে দিনটি উদযাপন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে খ্রিস্টান সম্প্রদায়।
বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব চার্চ ও তারকা হোটেলগুলোকে ক্রিসমাস ট্রি, রঙিন বাতি, বেলুন আর ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। পাশাপাশি হোটেল ও পরিবারগুলোতে আয়োজন করা হয়েছে নানা ধরনের কেক, পিঠা ও বিশেষ খাবারের।
রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জায় বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। গির্জা ও এর আশপাশে রঙিন বাতি জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রচুর জরি লাগিয়ে গির্জার ভেতর সুসজ্জিত করা হয়েছে। ভেতরে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি।
বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক স্বপন রোজারিও জানিয়েছেন, সোমবার রাতে গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা এবং মঙ্গলবার সকাল থেকে বড়দিনের প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও এবং মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজনকে প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮
এইচএমএস/এমকেএম