ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ছাগলে কলাই খাওয়ার জেরে ১০জনকে কুপিয়ে আহত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮
ছাগলে কলাই খাওয়ার জেরে ১০জনকে কুপিয়ে আহত

নারায়ণগঞ্জ: ছাগলে কলাই খাওয়াকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ১০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন।

সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে সোনারগাঁওয়ের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লক্ষিবরদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই গ্রামের আমিনউদ্দিনের কলাই জমিতে রোববার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে পার্শ্ববর্তী ইদ্রিস আলীর একটি ছাগল কলাই খাচ্ছিল।

এসময় আমিনউদ্দিনের স্ত্রী রোকসানা ছাগলটিকে ঢিল মেরে তাড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে ইদ্রিস ও রোকসানার মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। পরে ইদ্রিস রোকসানা ও তার প্রতিবন্ধী দু’মেয়েকে পিটিয়ে আহত করেন।

সোমবার এ ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান ওই বাড়িতে গিয়ে রোকসানাকে চিকিৎসার অর্থ দিয়ে চলে আসার সময় ইদ্রিসকে রাস্তায় পেয়ে তাকে মারধরের বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করার অনুরোধ করেন। চেয়ারম্যান চলে আসার পর সকাল ১১টার দিকে পুনরায় ইদ্রিসের নেতৃত্বে রুহুল আমিন, আবুল হোসেন, সেলিম মিয়া, ইমরান, রুবিয়াসহ ১২/১৫জনের একটি দল রাম দা, টেঁটা, বল্লম, লোহার রড নিয়ে রোকসানার বাড়িতে হামলা চালায়। ফের রোকসানাকে পিটিয়ে আহত করেন। পরে চেয়ারম্যানের নির্দেশে ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম ইদ্রিসকে শাসালে এসময় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম, পনির, নয়ন, নিরব, জুয়েলসহ ১০জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেন।

আহতদের ঢাকা পঙ্গু হাসাপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে পনিরের অবস্থা আশংকাজনক। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় পুলিশ ইদ্রিসকে আটক করেছে।  

নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান বাংলানিউজকে জানান, রোকসানা খুবই অসহায় একজন নারী। তার পরিবার খুবই দরিদ্র। তার পরিবারে দু’জন প্রতিবন্ধী রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তাদের খোঁজখবর আমি নিয়ে থাকি। এ পরিবারে হামলার খবর পেয়ে আমি সকালে গিয়ে চিকিৎসার জন্য অর্থ সহযোগিতা দিয়ে এ পরিবাররের উপর জুলুম না করার অনুরোধ করে আসার পর ইদ্রিস আলী পুনরায় হামলা করেন।

নোয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেন বাংলানিউজকে জানান, ইদ্রিস আলীর পরিবার এলাকায় খুবই খারাপ প্রকৃতির বলে সবারই জানা আছে। কারণে অকারণে মানুষের উপর তারা নির্যাতন করে।

অভিযুক্ত পুলিশের হাতে আটক ইদ্রিস আলী বলেন, আমাকে রোকসানা মারধর করেছেন। এ বিষয়টি আমার ছেলেরা মেনে নিতে পারেনি। রোকসানা ও নুরুল ইসলাম মেম্বার মিলে চেয়ারম্যানকে দিয়ে আমাকে অপমান করেছেন।

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।