ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সুবর্ণচরে গণধর্ষণ মামলার আরেক আসামি গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৯
সুবর্ণচরে গণধর্ষণ মামলার আরেক আসামি গ্রেফতার

নোয়াখালী: বিরোধী একটি দলকে ভোট দেওয়ায় নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে চার সন্তানের জননীকে (৩২) গণধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আরেক আসামি সোহেলকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত এ মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) রাতে ও বুধবার (০২ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা ও লক্ষীপুর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

>>>আরো পড়ুন...‘ভোটের’ জেরে ৪ সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ

সোহেল সুবর্ণচরের মধ্য বাগ্যা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে।

গ্রেফতার অপর দুই আসামি হলেন- চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্য বাগ্যা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে স্বপন (৩৫) ও একই গ্রামের আহমদ উল্লার ছেলে বাসু (৪০)।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ইলিয়াছ শরীফ বাংলানিউজকে জানান, বুধবার দুপুরে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার মহেষপুরের একটি ইটভাটা থেকে সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে, মঙ্গলবার রাতে লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলা থেকে মামলার তিন নম্বর আসামি স্বপনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর সোমবার মামলার ছয় নম্বর আসামি বাসুকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে, গণধর্ষণের ঘটনা তদন্তে বুধবার দুপুরে মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্যের একটি কমিটি নোয়াখালীতে আসেন। তারা হাসপাতালে ওই নারীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।  

পরিদর্শনের সময় কমিটির প্রধান মানবাধিকার কমিশনের পরিচারক আল-মাহমুদ ফয়জুল কবীর বাংলানিউজকে বলেন, ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য ও মেডিকেল পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর তাদের তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেওয়া হবে।

এরপর বিকেলে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পুলিশ জানায়, রোববার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের সোহেল, হানিফ, স্বপন, চৌধুরী, বেচু, বাসু, আবুল, মোশারেফ ও ছালাউদ্দিন ৪০ বছর বয়সী এক নারীর বসত ঘর ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে তারা ওই নারীর স্বামী ও মেয়েকে বেঁধে রেখে তাকে ঘরের বাইরে নিয়ে গণধর্ষণ করে ও পিটিয়ে আহত করে। পরদিন ওই নারী ও তার স্বামীকে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী ৯ জনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।

ওই গৃহবধূর স্বজনরা অভিযোগ করেন, এই বর্বরোচিত কাণ্ডে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেই রুহুল আমিনকেই (চর জুবিলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য) আসামি করা হয়নি। এ নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে। সরকারের পক্ষে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও এরইমধ্যে জানিয়েছেন, গণধর্ষণের ঘটনায় কেউ রেহাই পাবে না। এ বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।