২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে সোহাগী ব্যবসা শিক্ষা শাখায় বেরোবিতে সি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ১৫তম স্থান অর্জন করেছে। আগামী ১০ জানুয়ারি ভর্তির শেষ দিন।
সোহাগী লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়া গ্রামের দিনমজুর হারুণ অর রশিদের মেয়ে। চার ভাই-বোনের মধ্যে সোহাগী দ্বিতীয়। বাকি তিন ভাই-বোন বিভিন্ন কলেজ লেখাপড়া করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, হারুণ অর রশিদ একজন দিনমজুর ও বর্গাচাষি। বসতভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই তাদের পরিবারের। চার ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার পেছনে অন্যের বাড়িতে কাজ করতে হয় তাকে। খেয়ে না খেয়ে দিনযাপন করলেও কখনও হাত পাতেননি অন্যের কাছে। অবশেষে মেয়ের উচ্চ শিক্ষার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন হারুণ অর রশিদ।
সোহাগী ২০১৫ সালে এসএসসি পরীক্ষায় মহিষখোচা বহুমুখী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ এবং ২০১৭ সালে একই প্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৪.৬৭ পেয়েছেন। এরপর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় সি ইউনিটে মেধা তালিকায় ১৫তম স্থান অর্জন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সুযোগ পেয়েও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার উচ্চ শিক্ষা।
সোহাগী বাংলানিউজকে বলেন, ভবিষ্যতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে বিসিএস ক্যাডার হতে চাই। কিন্তু জীবনের শুরুতেই বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে টাকা। স্বপ্ন থাকলেও হয়তো টাকার অভাবে আমাকে আটকে যেতে হবে।
সোহাগীর বড় ভাই মানিক মিয়া বলেন, এতো টাকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করার মতো সামর্থ্য নেই আমাদের। তবুও আমি আমার বোনের স্বপ্ন এভাবে শেষ করে দিতে পারি না। তাই আজ সবার দ্বারস্থ হয়েছি। সমাজের বিত্তবানরা সহায়তা করলে সোহাগীর স্বপ্ন পূরণ হবে। এজন্য তিনি সমাজের বিত্তবানদের তাকে সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সহযোগিতা করার জন্য ০১৭৫২ ৫৫১৬৩৫ এ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৯
আরবি/