ঢাকা, বুধবার, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২২ মে ২০২৪, ১৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

শুষ্ক মৌসুমেও ফুলজোড় নদীতে ভাঙন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০১৯
শুষ্ক মৌসুমেও ফুলজোড় নদীতে ভাঙন

সিরাজগঞ্জ: শুষ্ক মৌসুমেও সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ফুলজোড় নদীতে আবারো ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কে রয়েছে তিনটি গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার।

ইতোমধ্যে ১০/১২টি বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের আশঙ্কায় অনেকেই ঘরবাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে।

শনিবার (৫ জানুয়ারি) সরেজমিনে উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের তিয়রহাটি, আমডাঙ্গা ও নূর নগর গ্রামে গেলে কথা হয় নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের সঙ্গে। তারা বাংলানিউজকে বলেন, শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই এ অঞ্চলে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত ১৫ দিনে অন্তত ১০/১২টি বসতভিটা ও বেশ কয়েক বিঘা কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের তীব্রতা দিন-দিন বাড়তে শুরু করেছে। শতাধিক পরিবার তাদের ঘর-বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে এ অঞ্চলের দরিদ্র কৃষিজীবী মানুষগুলোর।  

তিয়রহাটী গ্রামের হানিফ সরদার, মোছা. হাফিজা বেগম, কালাচাঁদ সরদারসহ অনেকেই বাংলানিউজকে জানান, হঠাৎ করে নদী ভাঙন শুরু হওয়ার কারণে গ্রামের অনেকে তাদের ভিটামাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। প্রতিবছরই এখানে ভাঙনের কারণে এ অঞ্চলের কৃষকেরা ভিটেমাটি ও ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে।  

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য জিয়া রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় দুই মাস ধরে ফুলজোড় নদীর পানি ধীরে ধীরে কমছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নদী ভাঙনও শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে। ভাঙনরোধে ব্যবস্থা না নিলে অল্পদিনের মধ্যে আরো ২০/২৫টি বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।  

বড়হর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরল ইসলাম নান্নু বাংলানিউজকে বলেন, নদীভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।