ঢাকা, সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দুর্নীতির বিষয়ে সরকার সব ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৯
দুর্নীতির বিষয়ে সরকার সব ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বিশ্বের সব দেশেই দুর্নীতি রয়েছে। ঔপনিবেশিক আমলে তাকালেও আমরা দুর্নীতি দেখতে পাবো। কিন্তু বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে, দুর্নীতির বিষয়ে সব ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স। আর এটা বাস্তবায়ন করা গেলে দেশের সার্বিক উন্নয়নে সব প্রতিবন্ধকতা দূর হবে।

রোববার (২০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের উদ্যোগে ‘এক দশকের উন্নয়ন: পরিপ্রেক্ষিত গ্রামীণ জনপদ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

অদূর ভবিষ্যতে উন্নত দেশের কাতারে যেতে খুব বেশি দেরি নেই। এমন সময়ে আমাদের নিজেদেরই সমাজের বৈষম্য দূরীকরণে, সুখী-সমৃদ্ধশালী জীবনের লক্ষ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার জন্য নতুন নতুন সম্পদ সৃষ্টি করতে হবে। যতই উন্নয়ন পরিকল্পনা করা হউক না কেন, ভূমি অপচয় রোধ করতে না পারলে অর্থাৎ ভূমির সঠিক ব্যবহার না করলে উন্নয়ন কষ্টসাধ্য। তাই ভূমির সঠিক ব্যবহার করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।  

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি অধ্যাপক মাহফুজা খানম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এ মান্নান, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিরাজগঞ্জ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও কলামিস্ট মেজর জেনারেল (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার।
 
বক্তারা বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে শহরে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি হওয়ায় এবং শহর আকর্ষণীয় বলে গ্রামের মানুষরা বেশি শহরমুখী হয়ে থাকে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে গ্রামীণ জনপদের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। আর এক্ষেত্রে গ্রামে নতুন নতুন কর্মস্থানের যোগান হবে অগ্রগামী পদক্ষেপ।

তারা বলেন, আমাদের দেশের দক্ষ জনশক্তি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত রয়েছে। সংস্কৃতিতে পিছিয়ে রয়েছে যেসব দেশ, সেসব দেশে দক্ষ মানুষের যোগান কম দিতে হবে। কারণ আর্থিকভাবে লাভবান হলেও সাংস্কৃতিকভাবে আমাদের দেশ পিছিয়ে পড়বে। দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স থাকলেও কিংবা স্বল্প মাত্রায় দুর্নীতি হলেও এবং দেশের বাইরে যাতে অর্থ পাচার না হয় সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। দেশের অর্থ দেশের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করতে হবে।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফোরামের সদস্য সচিব সৌরভ জাহাঙ্গীর।  

‘এক দশকের উন্নয়ন: পরিপ্রেক্ষিত গ্রামীণ জনপদ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কলামিস্ট অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস।

আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহাবুব আলী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এইচ এম জেহাদুল করিম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেলসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ কলামিস্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৯
এইচএমএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।