বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে অগ্নিকাণ্ডের সার্বিক বিষয়ে নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে সংস্থাটির পরিচালক একেএম শাকিল নেওয়াজ বলেন, এখানে রাস্তা সরু, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি নেই, বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল, বৈদ্যুতিক ওয়ারিং এলোমেলো। সব মিলিয়ে এখানে একটা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
‘এখানে এলপিজি, ন্যাচারাল গ্যাস, ইলেকট্রনিক ও কেমিক্যাল হ্যাজার্ড তো ছিলই’।
ফায়ার সার্ভিসের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, নিমতলীর ঘটনার পর কেমিক্যাল পল্লী হওয়ার কথা ছিল, এখানে গভীর রাতে কেমিক্যালের কাজগুলো হতো। ঘরের মধ্যে কে কী কাজ করতো তা জানার কথা নয়।
শাকিল নেওয়াজ বলেন, এটা একটা ভালো নিউজ দিয়েছে, ওয়েক আপ কল দিয়েছে যে তোমরা সতর্ক হও, এর চেয়ে বড় দুর্ঘটনা আসছে।
একুশের রাতে (বুধবার) ঘটা এ অগ্নিকাণ্ডে শেষ খবর (সকাল সাড়ে ৯টা) পাওয়া পর্যন্ত ৭০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো উদ্ধার কাজ চলছে। আরও মরদেহ থাকতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ মহাপদির্শক (আইজিপি) ড. জাভেদ পাটোয়ারী এবং ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ পর্যন্ত নিহত ৭০ জনের মধ্যে ৬৭ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছে ৯ জন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯
এমআইএইচ/এসএইচ