ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কমান্ডো অভিযানে প্লেন ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী নিহত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
কমান্ডো অভিযানে প্লেন ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী নিহত অভিযানের বর্ণনা দিচ্ছেন চট্টগ্রাম সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান। ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি প্লেন অপহরণের চেষ্টার ঘটনাটি দক্ষতার সঙ্গে মাত্র ৮ মিনিটে অবসান ঘটিয়েছে কমান্ডো বাহিনী। প্লেনের ১৪৮ আরোহী নিরাপদে নামতে সক্ষম হয়েছেন। তবে কমান্ডো অভিযানে মারা গেছেন ছিনতাইকারী।

এ বিষয়ে শাহ আমানত বিমান বন্দরে রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান।  

প্লেন ছিনতাই চেষ্টাকারী আটক, যাত্রী-ক্রু সবাই নিরাপদ

তিনি বলেন, মাত্র আট মিনিটে ছিনতাই ঘটনার অবসান ঘটানো হয়েছে।

লে. কর্নেল ইমরুলের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ছিনতাইকারীর সঙ্গে একটি পিস্তল থাকার তথ্য জানিয়ে মেজর জেনারেল মতিউর বলেন, ছিনতাইকারীর বয়স ২৫-২৬। ক্রু’কে সে তার নাম ‘মাহাদী’ বলে জানিয়েছে।

অভিযানের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আমরা ছিনতাইকারীকে কথোপকথনের মাধ্যমে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করি, পাশাপাশি পরিকল্পনা সাজিয়েছি। এক পর্যায়ে তাকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হলে সে তা প্রত্যাখ্যান করে। পরে সে অভিযানে অংশ নেওয়া কমান্ডোদের উপর আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে। এ পর্যায়ে কমান্ডো অভিযানে প্রথমে আহত, পরে নিহত হয় ছিনতাইকারী।

ছিনতাইয়ের চেষ্টার শিকার বিমানের সেই ফ্লাইটবর্ণনায় তিনি আরো বলেন, বিকেল ৫টা ৩৩ মিনিটে বিমান বাহিনী প্রথম ছিনতাইয়ের বিষয়টি জানতে পারে। ককপিট থেকে পাইলট বিষয়টি জানায় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে (এটিসি)। পরে প্লেনটি ৫টা ৪১ মিনিটে জরুরি অবতরণ করে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা প্রাথমিকভাবে ঘটনা সামাল দিতে থাকেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে এক প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন আসে বিএনএস ইশা খাঁ থেকে। তারা সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন। দ্রুততম সময়ে বিমান বন্দরে এসে সফল অভিযান চালিয়ে ছিনতাই চেষ্টার অবসান ঘটান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পাইলট আমাদের প্রথম জানান ছিনতাইকারী বিদেশি। তবে তার সঙ্গে কথা বলে পরে তাকে বাংলাদেশি মনে হয়েছে। তবে তার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানা যায়নি।

ছিনতাইকারীর দাবির বিষয়ে এক প্রশ্নে মেজর জেনারেল মতিউর রহমান বলেন, সে (ছিনতাইকারী) প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলো। তবে তার পরিবারের কোনো ফোন নম্বর বা তথ্য জানা যায়নি।

আর অল্প সময়ের মধ্যেই বিমান বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে বলেও জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন এ সেনা কর্মকর্তা।

এর আগে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বিমানের বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে পাইলট তা জরুরি অবতরণ করান।  ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম থেকে দুবাই যাওয়ার কথা। কিন্তু উড্ডয়নের পরপরই ছিনতাই চেষ্টার ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে দ্রুতই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। আর রানওয়েতে অবস্থান করা প্লেনটি ঘিরে রাখে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনা কমান্ডোর সদস্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯
এমএ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।