ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘বিচারহীনতার প্রতিচ্ছবি বাংলাদেশ’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০১৯
‘বিচারহীনতার প্রতিচ্ছবি বাংলাদেশ’ গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা-ছবি-শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ‘দীর্ঘ ছয় বছরেও নারায়ণগঞ্জের ত্বকী হত্যার বিচার না হওয়ায় বিচারহীনতার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। এটা পুরো বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে চরম অবজ্ঞা। ত্বকী হত্যার সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ থাকার পরেও একটি পরিবার আজ বিচার পাচ্ছে না।’ 

সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বিচার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে বৃহৎ একটি প্ল্যাটফর্ম করে আন্দোলনের ডাক দেওয়ার আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনা সভায় বক্তারা  এমন আহ্বান জানান।

 

সভায় বক্তারা আরও বলেন, আমরা একটি অদ্ভূত অবস্থার মধ্য দিয়ে সময় পার করছি। প্রধানমন্ত্রী নিজে যেখানে ত্বকী হত্যার বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন তারপরেও দীর্ঘ ছয় বছরে কোনো বিচার হয়নি।  

বক্তারা অভিযোগ করেন, চিহ্নিত খুনিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এর চেয়ে  বিচারহীনতার আর কি প্রমাণ থাকতে পারে?

তারা ত্বকী হত্যার বিচারকাজ ত্বরান্বিত করতে একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্ম গঠনের উপরও গুরুত্বারোপ করেন।

সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রাফিউর রাব্বির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক ও ভাষা সৈনিক কামাল লোহানী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শফি আহমেদ, দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মনিরুজ্জামান, বাসদ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, সাবেক সচিব ভুইয়া শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ঐক্য ন্যাপের প্রধান পংকজ ভট্টাচার্য, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিজুল হক, ডা. সারোয়ার আলী, সাংবাদিক ও কলামিস্ট মিজানুর রহমান খান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ  সাকী প্রমুখ।  

সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব হালিম আজাদ।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে হত্যা করে একটি চিহ্নিত চক্র। বিচার প্রক্রিয়া অনেক দূর এগিয়ে গেলেও পরে থেমে যায়। ছয় বছরেও সেই বিচারকাজ আর এগুচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৯
এমএইচ/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।