বুধবার (৭ মার্চ) ইস্পাহানি’র জেরিন চা বাগানের ব্যবস্থাপক সেলিম রেজা বাংলানিউজকে বলেন, অনেক চা বাগানে এখন পাতা চয়নের কাজ শুরু হয়েছে। পাতা চয়নকে ইংরেজিতে Tipping বলে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বাগানে ৪ মার্চ (সোমবার) থেকে প্রথম পাতা চয়নের কাজ শুরু হয়। এ পাতা চয়ন চলবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। তারপর আবার চা গাছের ডাল ছাঁটাই শুরু হবে। চা গাছের ডাল ছাঁটাইকে ইংরেজিতে প্রুনিং বলে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি দু’মাস চা বাগানে পাতা চয়নের কাজ পুরোপুরি বন্ধ থাকে। আমাদের বাগানের টিলাগুলোতে ঘুরে দেখেছি, প্রুনিং করা চায়ের গাছে গজাচ্ছে নতুন কুঁড়ি ও পাতা। এক সেকশনের পাতাগুলো উত্তোলনের পর নতুন করে দু’টি পাতা একটি কুঁড়ি গজাতে প্রায় সাত-আট দিন সময় লাগবে।
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বিটিআরআই) পরিচালক মোহাম্মদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, আগাম বৃষ্টি হওয়াতে সুফল বয়ে এনেছে চায়ের জন্য। অনেক বাগানেই চায়ের পাতা চয়নের কাজ শুরু হয়ে গেছে।
২০১৮ সালে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৭২ মিলিয়ন কেজি ছিলো। তবে আমরা ৮২ মিলিয়ন কেজি পেয়েছিলাম। চায়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় ১০ মিলিয়ন কেজি বেশি পেয়েছিলাম। এবার লক্ষ্যমাত্রা ৭৮ মিলিয়ন কেজি ধরা হয়েছে বলেও জানান বিটিআরআই’র পরিচালক মোহাম্মদ আলী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৯
বিবিবি/এএটি