ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

৭ মার্চের ভাষণ মানব সভ্যতার অমূল্য দলিল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০০ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৯
৭ মার্চের ভাষণ মানব সভ্যতার অমূল্য দলিল সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ফটো

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের তাৎপর্য তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাংলাদেশের সম্পত্তি নয়, সারাবিশ্বের মূল্যবান সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে। এটি আজ বিশ্বের প্রমাণ্য ও মানব সভ্যতার অমূল্য দলিল হিসেবে স্থান পেয়েছে। এই ভাষণে বঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাই নয়, যুদ্ধের প্রস্তুতির নির্দেশও দিয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে পয়েন্ট অব অর্ডারে আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্য শুরু হয়।

 

পড়ুন>>৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধকারীরা নিঃশেষ হয়ে যাবে

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ৭ মার্চ ভাষণ বাজানো নিষিদ্ধ করেছিল তারা কত অন্ধকার যুগে বাস করতো তা আজ প্রমাণ হয়েছে। কিন্তু ইতিহাসকে কেউ মুছে ফেলতে পারে না। সত্যকে বেশিদিন ঢেকে রাখা যায় না,  সেটিও আজ প্রমাণিত হয়েছে।  

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আজ আমাদের মাঝে নেই। তার আজীবনের স্বপ্ন ছিল দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলা। আমরা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে, তার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ আর পিছিয়ে পড়া জাতি নেই, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু জানতেন নির্বাচনে জিতলেও পাকিস্তানিরা বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা দেবে না। সেজন্য সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করার প্রস্তুতি তার দীর্ঘদিন থেকেই ছিল। যুদ্ধ বাঁধলে কোথায় ট্রেনিং হবে, অস্ত্র কোথায় থেকে আসবে, অর্থ কোথায় থেকে আসবে সবকিছুর প্রস্তুতিই তিনি আগে থেকেই রেখে গিয়েছিলেন।

‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নিদের্শিত পথে অসহযোগ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা। এ ধরনের বিরল ঘটনা পৃথিবীর আর কোথাও নেই। ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু গেরিলা যুদ্ধসহ সবকিছুই বলে গিয়েছিলেন, যা বাঙালি জাতিকে বুঝতে এতটুকু অসুবিধা হয়নি,’ যোগ করেন তিনি।  
 
শেখ হানিসা বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার সংগ্রামকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে দেখাতে পাকিস্তানিরা অনেক কিছুই করেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তা হতে দেননি। ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরুর পরপরই বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণার দেন। এরপর আন্তর্জাতিক বিশ্বের সমর্থন ও স্বীকৃতি আমরা পেয়েছি।  

‘‘বঙ্গবন্ধু জানতেন, ভাষণের পর তাকে হয়তো বাঁচিয়ে নাও রাখা হতে পারে। সেজন্য ভাষণে বঙ্গবন্ধু উল্লেখ করেছিলেন- ‘আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমাদের কাছে যা কিছু আছে, তাই নিয়ে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তেলো। ’ মূলত ৭ মার্চের ভাষণের পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল। পৃথিবীর এমন কোনো ভাষণ নেই, যেটি ৪৮টি বছর ধরে সমান আবেদন নিয়ে মানুষ শুনছে, বাজছে। বঙ্গবন্ধুর এ ঐতিহাসিক ভাষণের আবেদন কোনোদিন ফুরবে না, যুগ যুগ ধরে দেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে যাবে। ’  

বাংলাদেশ সময়: ০১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৯ 
এসকে/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।