শুক্রবার (০৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকায় নেওয়ার পথে আজিজুল মারা যান।
আজিজুল ইসলাম উপজেলার দেওভোগ গ্রামের আ. রউফের ছেলে।
আটকরা হলেন- দেওভোগ গ্রামের আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে বেলাল মিয়া (৬৫), একই গ্রামের ফিরোজ মোল্লার ছেলে খাইরুল মোল্লা (১৮), আমজাদ মোল্লার ছেলে আকরাম মোল্লা (১৯), রাজ্জাজ মোল্লার ছেলে মেহসীন মোল্লা (২৮) ও রফিক মোল্লার ছেলে লিটন মোল্লা (১৭)।
মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মুরাদ বাংলানিউজকে জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বুধবার রাতে দেওভোগ গ্রামের বাকী মোল্লার ছেলে কামরুল ও আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে রাসেলের মধ্যে মারামারি হয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসার জন্য বৃহস্পতিবার সালিশি বৈঠকের কথা বলেন। কিন্তু কামরুল বৈঠকের আগেই রাসেলের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে পিটিয়ে আহত করেন।
এদিকে, রাসেলের বড় ভাই সেনা সদস্য আজিজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতে ছুটিতে বাড়ি এসে এ ঘটনা জানতে পারেন। মীমাংসার কথা হওয়ার পরও কেন তার ভাইকে মারা হলো তা জানতে শুক্রবার সকালে আজিজুল তার চাচাদের নিয়ে গ্রামের উত্তরপাড়ায় যান। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মারামারি শুরু হলে আজিজুলসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষের ছয়জন আহত হন। আহতদের মধ্যে আজিজুলকে প্রথমে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ও পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেলে তিনি মারা যান। এছাড়া আহত তিনজনকে উপজেলাস্থ জামুর্কী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৯
এনটি