শনিবার (৯ মার্চ) সকালে সাংবাদিকদের সামনে তাদের হাজির করা হয়। এর আগে শুক্রবার (০৮ মার্চ) দিনগত রাতে অভিযান চালিয়ে মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী গ্রাম ও জেলা শহরের মোক্তারপাড়া থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক দুই চোর হলো- আহসান তালুকদার দুর্জয় ও মার্কেটের নৈশপ্রহরী আবুল মজিদ।
দুর্জয় নেত্রকোণার মদন উপজেলার বাগদাইর গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে। সে ওই উপজেলার স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। নৈশ প্রহরী মজিদ জেলা শহরের কাটলি এলাকার মৃত সনোর উদ্দিনের ছেলে।
নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন খান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, দুর্জয় মোক্তারপাড়া এলাকায় ভগ্নীপতির পরিচয়ের সুবাদে মার্কেটের পেছনে একটি বাসায় দুইটি রুম ভাড়া নিয়ে একা থাকে। বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) ঘটনার (চুরি) রাত পৌনে ১টার দিকে কম্পিউটার দোকানের পেছনের দেয়াল ভেঙে ভেতরে ঢোকে দুর্জয়।
পরে দেড়টা পর্যন্ত দোকানের ভেতরে অবস্থান করে। এসময় সে নৈশপ্রহরী মজিদের সহযোগিতায় একাধিক ল্যাপটপ, ডিজিটাল ক্যামেরা, হেডফোন, কার্ড রিডারসহ ইলেকট্রনিকস অন্যান্য ডিভাইস বস্তা ভর্তি করে নিয়ে যায়।
শুক্রবার (০৮ মার্চ) দুপুরের দিকে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পান দোকান মালিক রাহাত। তিনি দ্রুত বাসা থেকে বের হয়ে দোকানে আসেন এবং পুলিশকে অবগত করেন। পরে দুর্জয়কে চোর হিসেবে শনাক্ত করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে দুর্জয় জানায়, চুরির সব মালামাল মদন উপজেলায় তার বোনের ঘরে আছে। পরে পুলিশ তল্লাশি করে সেই ঘর থেকে সব মালামাল জব্দ করে।
প্রসঙ্গত, এর কয়েকমাস আগে একই মার্কেটে আরো তিনবার চুরির ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ রাহাতের কম্পিউটার ও ইলেকট্রনিকস অন্যান্য সামগ্রী বিক্রির দোকানে চুরি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৯
আরএ