ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘কাজী মাহবুবউল্লাহ’ পুরস্কারে ভূষিত হলেন ৭ গুণীজন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৯
‘কাজী মাহবুবউল্লাহ’ পুরস্কারে ভূষিত হলেন ৭ গুণীজন অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে পুরস্কারপ্রাপ্তরা-ছবি-ডি এইচ বাদল

ঢাকা: ‘কাজী মাহবুবউল্লাহ’ পুরস্কারে ভূষিত হলেন সাত গুণীজন। বেগম জেবুন্নেছা ও কাজী মাহবুবউল্লাহ জনকল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সাংবাদিকতা, শিল্প ও সংস্কৃতি, খেলাধুলা, বিজ্ঞান এবং সাহিত্যে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য তারা এ পুরস্কার পান। এবছর একইসঙ্গে ২০১৭ এবং ২০১৮ সালের সম্মাননা প্রদান করা হয়।

২০১৭ সালে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন সাংবাদিকতায় অসামান্য অবদান রাখার জন্য সমকাল সম্পাদক প্রয়াত গোলাম সারওয়ার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অসামান্য অবদান রাখার জন্য জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী এবং শিল্প ও সংস্কৃতিতে (সংগীত) অসামান্য অবদান রাখার জন্য শিল্পী ফাহিম হোসেন চৌধুরী।

২০১৮ সালে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন সমাজসেবা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সৈয়দ হাসান ইমাম, খেলাধুলায় (দাবা) রাণী হামিদ, বিজ্ঞান (ইটিইসি, টাইফয়েড, হেলিকোব্যাকটের পলরি, রোটা ভাইরাস) ক্ষেত্রে ফেরদৌসী কাদরী এবং সাহিত্যে ইমদাদুল হক মিলন।

শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় অনুষ্ঠিত এক আয়োজনে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইমেরিটাস ড. ইকবাল মাহমুদ এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ট্রাস্টের কর্মপরিধি তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য দেন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান জোবায়দা মাহবুব লতিফ। ২০১৭ সালে পুরস্কারপ্রাপ্তদের পক্ষ থেকে কথা বলেন ফাহিম হোসেন চৌধুরী এবং ২০১৮ সালে পুরস্কারপ্রাপ্তদের পক্ষ থেকে কথা বলেন সৈয়দ হাসান ইমাম।

ফাহিম হোসেন চৌধুরী বলেন, ভালো কিছুর করার জন্য শুধু টাকাই যথেষ্ট নয়, আগে প্রয়োজন ইচ্ছেশক্তি। উপজেলা পর্যায়ে যারা বড় ব্যক্তি আছেন, তারা যদি একটু এগিয়ে এসে বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান তবে অনেক শিক্ষার্থীই আরও ভালো করতে পারবে। একটি পদক্ষেপেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবো।

সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, আমাদের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও সুভাষ বসু বলেছিলেন- আমাদের সোনার মানুষ দাও, আমরা সোনার দেশ দেবো। সেই সোনার মানুষ গড়া যায় শিক্ষার মাধ্যমে। আর শিক্ষা ক্ষেত্রে এই ট্রাস্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়। একইসঙ্গে আমার থেকে যোগ্যতর ব্যক্তি আরও আছেন। তাদের না দিয়ে আমাকে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এই পুরস্কার গ্রহণ করছি, তবে তাদেরও স্মরণ করছি।

ইমেরিটাস ড. ইকবাল মাহমুদ বলেন, এই ট্রাস্টের শিক্ষা বৃত্তির ফলে অনেক গরিব শিক্ষার্থী বড় হয়েছেন। একজন তো এখন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর। এটা আমাদের গর্বের। এর পরিধি আরও বিস্তার লাভ করেছে, আরও করবে এবং চলমান থাকবে বলেই আশা করছি।

প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, এই ট্রাস্ট সবদিক থেকে ধন্যবাদ পাওযার যোগ্য। আশা রাখছি এটি আরও বড় হবে। একইসঙ্গে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে কোনো সহযোগিতা করতে পারলে ভালো লাগবে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, শিক্ষা ও চিকিৎসা শাস্ত্রে এই ট্রাস্টের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বিশিষ্টজনদের সম্মানিত করলে ট্রাস্টও সম্মানিত হয়। সেদিক থেকে এই ট্রাস্ট একটি সম্মানজনক স্থানে পৌঁছেছে। আমরা আশা করবো এই পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে উঠতি প্রতিভাগুলো উৎসাহ লাভ করবে।

পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে একটি সনদ, ক্রেস্ট ও এক লাখ টাকা অর্থমূল্য প্রদান করা হয়। আয়োজনে প্রয়াত গোলাম সারওয়ারের পক্ষে তার জামাতা মিয়া নাঈম হাবিব এবং অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর পক্ষে তার স্ত্রী সেলিনা নওরোজ পুরস্কার গ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৯
এইচএমএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।