শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে হবিগঞ্জ পিবিআই’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিয়া কুতুবুর রহমান চৌধুরী এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
মামলায় স্বীকারোক্তি দেওয়া আসামিরা হলেন- বাহুবল উপজেলার রাজাপুর গ্রামের ইসহাক আলীর ছেলে সাইফুর রহমান (২৪), একই গ্রামের মৃত ফুল মিয়ার ছেলে জুবায়ের আহমেদ (২৪), ইউসুফ আলীর ছেলে আবু সাঈদ (২০) ও একই উপজেলার মোহনপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে মামুনুর রশিদ (২৩)।
আসামিদের দেওয়া জবানবন্দির বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, মামলার অন্যতম আসামি জুবায়েরের সঙ্গে মোহনপুর গ্রামের মৃত কিরাম উদ্দিনের মেয়ে রুমানা আক্তারের আগে থেকেই জানাশোনা ছিল। ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট রাতে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে রুমানাকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসেন জুবায়ের। পরে তার তিন বন্ধুর কাছে থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে তাদের হাতে তুলে দেয় মেয়েটিকে।
একপর্যায়ে ওই চার বন্ধু মিলে পালাক্রমে পাশবিক নির্যাতনের পর মেয়েটি গলা কেটে হত্যা করে। পরে স্থানীয় ঈদগাহ মাঠের পার্শ্ববর্তী ধান ক্ষেতে মরদেহটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা। পরদিন সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। ৬ আগস্ট রুমানার মা বানেছা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে বাহুবল মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
একই বছরের ১২ মে মামলা তদন্তের দায়িত্ব পান হবিগঞ্জ পিবিআই’র পরিদর্শক মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম। তদন্তের পর সাইফুর রহমান, মামুনুর রশিদ, জুবায়ের আহমেদ ও আবু সাঈদকে চলতি বছরের ৩ মার্চ থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত পৃথক অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান মাহমুদ প্রধান এবং তৌহিদুল ইসলামের আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিয়া কুতুবুর রহমান চৌধুরী।
বাংলাদশে সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৯
জিপি