ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

চাকরির চাহিদা দেখে আমরা পড়াই: মালয় অধ্যাপক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৩ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৯
চাকরির চাহিদা দেখে আমরা পড়াই: মালয় অধ্যাপক কনফারেন্সে উপস্থিত অতিথিরা-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চাকরির বাজারের চাহিদা দেখে কারিকুলাম তৈরি করে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয় বলে জানালেন সে দেশের নামি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক। তিনি জানান, তথ্য প্রযুক্তি এবং কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের উপযোগী করে তোলা হয়। এতে সহজেই চাকরি ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়ে যায় শিক্ষিত যুবকদের।  

শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে দুই দিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল স্কিলস কনফারেন্সে অংশ নিয়ে একথা জানান ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়ার স্কুল অব এডুকেশনের ডিন অধ্যাপক ড. নোরাজাহ মোহাম্মদ নরদিন।
 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে বিকেলে কনফারেন্সে প্যানেল আলোচনায় মালয়েশিয়ান এই অধ্যাপকসহ বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রাখেন।


 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চাহিদার সঙ্গে যোগানের ভারসাম্যের দিকটি বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। আমাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা নেই, এটি ওভারকাম করতে হবে। এজন্য সরকার কারিগরি শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্প গ্রহণ করছে।
 
মালয় অধ্যাপক বলেন, আমাদের তরুণদের জন্য ডিজিটাল পরিকল্পনা আছে। তরুণদের ই-এন্টারপ্রাইনর হিসেবে গড়ে তুলতে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
 
তিনটি মেগা ট্রেনের উপর মালয়েশিয়ান তরুণদের তুলে দেওয়া হয় জানিয়ে তিনি বলেন, সাইকোলজিক্যাল, ডিজিটাল ও বায়োলজিক্যাল মেগা ট্রেন মালয়েশিয়ান শিক্ষার্থীদের ভিত্তি।  
 
মালয়েশিয়ান এই অধ্যাপক বলেন, তরুণদের জন্য ডিজিটাল প্ল্যান আছে। আমরা তরুণদের উপর জোর দেই। প্রকল্প দিয়ে তারা ই-এন্টারপ্রাইনর হয়। তরুণ যুবকদের বহু অনলাইন কোর্স করানো হয়।
 
তিনি বলেন, আমরা আগেই নির্ধারণ করি কারা আমাদের টার্গেট গ্রুপ। আমরা প্রত্যেককে নিজেদের সঙ্গে কানেক্ট করি আর তারা বিশ্বের সঙ্গে নিজেদের কানেক্ট করে। হ্যান্ডস অন হ্যান্ডস এক্সপেরিয়েন্স এবং ফেস টু ফেস এক্সপেরিয়েন্স দেওয়া হয়।
 
দুই দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞ, দাতা সংস্থার প্রতিনিধি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
 
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাসিম মনজুরের সঞ্চালনায় অংশগ্রহণকারীরা জানান, দক্ষিণ এশিয়ার শিক্ষিত তরুণদের চাকরি এখন গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
 
জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) নির্বাহী চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন, আমাদের একাধিক প্রতিষ্ঠান দক্ষতা উন্নয়নের একাধিক সনদ প্রদান করায় বিদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো কনফিউশনে পড়ে। এতে করে চাকরিতে বেতনও কম হয়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কারিগরি ও ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।
 
তিনি বলেন, আমাদের বিপুল সংখ্যক তরুণ জনশক্তি আছে। কিন্তু তাদের দক্ষতা নেই। তারা প্রশিক্ষিত হলেও সনদের জটিলতায় প্রকৃত মূল্যায়ন হয় না।
 
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) সোশ্যাল সেক্টর স্পেশালিস্ট ফুক ইয়েন চং বলেন, প্রচুর প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও সঠিক প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। এডিবি এ দক্ষতা উন্নয়ন সংক্রান্ত কিছু প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
 
শ্রীলঙ্কান একজন আলোচক বলেন, কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতরা পড়াশোনা শেষে যে চাকরি পায় সেজন্য বলা হয় ‘গোল্ড কালার জব’। আমাদের শিল্প কলকারখানার চাহিদা দিয়ে পড়াশোনা করানো হয়।
 
কনফারেন্সে বিশ্ব ব্যাংকের ‍সিনিয়র এডুকেশন ইকোনমিস্ট সিরো নাকাতা, জার্মান ইকোনমিস্ট সারা প্রেনকেমারসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৯
এমআইএইচ/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।