তিনি সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বাগেরহাটের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক গোলক চন্দ্র বিশ্বাস জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সোনালী ব্যাংক, বাগেরহাট শাখার সিনিয়র অফিসার মাহফুজুর সদর উপজেলার মুক্ষাইট গ্রামের শেখ আনিছুর রহমানের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২ আগস্ট থেকে ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সোনালী ব্যাংক বাগেরহাট শাখা থেকে ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬১০ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে ব্যাংকটির সিনিয়র অফিসার শেখ মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৫ সালের পহেলা অক্টোবর মামলাটি দায়ের করেন সোনালী ব্যাংক, বাগেরহাট শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক খান বাবলুর রহমান। মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রায় এক বছর ধরে তদন্ত করার পর ৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে। এর মধ্যে ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মাহফুজুর, টাকা আত্মসাতের সময় দায়িত্বরত ব্যবস্থাপক শেখ মুজিবর রহমান, জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ) জাহাঙ্গীর হোসেন এবং লায়লা বেগমসহ ১২ জন গ্রাহক রয়েছেন। এদের মধ্যে লায়লা বেগম জেলা কারাগারে রয়েছেন।
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিলন কুমার ব্যানার্জী বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘ তদন্ত শেষে ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। সোমবার প্রধান আসামি শেখ মাহফুজুর জামিন আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
এসআরএস