মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে পৃথকভাবে ক্যাম্পাসে এসব কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। সকাল থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ছাত্রলীগ।
বিক্ষোভরত ছাত্রলীগের কর্মীদের দাবি, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নেতা নূরুল হক নূরকে ভিপি পদে জয়ী করতে ‘অনেক বড় জালিয়াতি’ হয়েছে। ওই পদে পুনর্নির্বাচন করতে হবে। তাছাড়া নুরুল হক জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
এদিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে টিএসসি এলাকায় অবস্থান নেন বাম ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা।
একই দাবিতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও সকালে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশ করেছে।
তাদের দাবি, নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও জড়িত। আমরা ডাকসু নির্বাচনের পুনঃতফসিল ও উপাচার্যের পদত্যাগ চাই।
এ সময় তাদের ‘এক দুই তিন চার, ভিসি তুই গদি ছাড়’, ‘প্রহসনের নির্বাচন, মানি না মানবো না,’ স্লোগান দিতেও শোনা যায়। ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়ে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীদের হাতে বেশ কিছু দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের হাসিব বাবু নামে এক ছাত্র বাংলানিউজকে জানান, ভিসির পদত্যাগসহ ডাকসু নির্বাচন পুনঃতফসিলের দাবিতে আমরা অবস্থান নিয়েছি। এখানে বামসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন এবং সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নিয়েছেন।
টিএসসি এলাকা অবস্থান শেষে মিছিল নিয়ে মধুর ক্যান্টিনের দিকে যেতে দেখা যায়। এর আগে সোমবার (১১ মার্চ) ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণের এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ ছাড়া সব ক’টি প্যানেল ভোট বর্জন করে।
অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনকারী বাম জোট, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দুই জোট মঙ্গলবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।
এদিকে ডাকসু নির্বাচনের পরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একেবারেই কম। সরেজমিনে দেখা যায়, কোনো বিভাগে ক্লাস হচ্ছে না। অনেক ক্লাসরুম বন্ধ, শিক্ষকরাও নেই।
তবে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে উপাচার্যের বাসভবনসহ বিশ্ববিদ্যালিয়ের প্রবেশপথগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
২৮ বছর পর হওয়া ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে জয় পেয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নূরুল হক নূর। আর জিএস পদে ছাত্রলীগের গোলাম রাব্বানী ও এজিএস পদে সাদ্দাম হোসেন জয়ী হয়েছেন।
রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডাকসুর সভাপতি ড. আখতারুজ্জামান সিনেট ভবনে এই ফলাফল ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। শিবির সংশ্লিষ্টতা দাবি করে নূরকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারেরও দাবি জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
এজেডএস/এমএ/