ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

যাত্রা শুরু করলো ‘স্মার্ট ব্রেইন বাংলাদেশ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৯
যাত্রা শুরু করলো ‘স্মার্ট ব্রেইন বাংলাদেশ’ যাত্রা শুরু করলো স্মার্ট ব্রেইন বাংলাদেশ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: স্বাভাবিকভাবে, মানুষ মস্তিস্কের বাম অংশ ব্যবহার করে এবং ডান অংশ অধিকাংশ ক্ষেত্রে অব্যবহৃত থেকে যায়। এই ডান অংশটি ৫-১৫ বছর বয়সে বিকশিত হয়, অন্যথায় পরবর্তীতে ডান অংশটি অব্যবহৃতই থেকে যায়। আর সঠিক সময়ে শিশুদের এই ডান অংশটি ব্যবহার উপযোগী করে তোলে অ্যাবাকাস ও মেন্টাল এরিথমেটিক সিস্টেম।

বুধবার (১৩ মার্চ) অ্যাবাকাস ও মেন্টাল এরিথমেটিক সিস্টেম নিয়ে যাত্রা শুরু করলো স্মার্ট ব্রেইন বাংলাদেশ। সন্ধ্যায় রাজধানীর আঁগারগাঁওয়ের একটি রেস্টুরেন্টে মেন্টাল এরিথমেটিক প্রোগ্রামের উন্নত সংস্করণ নিয়েই বাংলাদেশে শুরু হলো স্মার্ট ব্রেইন সিস্টেমের যাত্রা, যা পরিচালিত হবে এর প্রধান অফিস থাইল্যান্ড থেকে।

অ্যাবাকাস ও মেন্টাল এরিথমেটিক মূলত এমন একটি প্রশিক্ষণ যার মধ্য দিয়ে শিশুরা গণণার মাধ্যমে তাদের ডান মস্তিস্ক সচল করতে সক্ষম। আর এটি নিয়ে স্মার্ট ব্রেইনের বিশেষত্ব হলো এতে করে শিশুর বিশ্লেষণ ক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। বিকাশ ঘটে যুক্তিপ্রবণ মানসিকতার।  

এছাড়া গণিতের প্রতি মনোযোগ সৃষ্টি ও উপলব্ধি ক্ষমতার বিকাশসহ কল্পনা শক্তির বিস্তৃতি এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় বলে জানান স্মার্ট ব্রেইনের পরিচালক শাহ আলম বাদশাহ।

একইসঙ্গে সঠিক বিচার-বিবেচনাবোধ তৈরি, শ্রেণীকক্ষের সর্বোচ্চ পারফরমেন্স নিশ্চিত করা এবং দর্শন, শ্রবণ, স্পর্শ ও কল্পনার বোধশক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যক্তিত্বের উন্নয়ন ঘটে। আর অ্যাবাকাস গণনায় দুই হাত ব্যবহারের পরিবর্তে শুধু এক হাত ব্যবহারের একমাত্র পদ্ধতি স্মার্ট ব্রেইন, যা অনুশীলনের জন্য প্রতিদিন মাত্র ১৫ মিনিট সময়ই যথেষ্ট বলেও জানান তিনি।

সন্ধ্যার এ আয়োজনে আরো উপস্থিত ছিলেন- স্মার্ট ব্রেইনের চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিমুল ইহসান (এফসিএস), সিইও মিরান হাসান, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মকবুল আহমেদ খান, স্মার্ট ব্রেইন থাইল্যান্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্রীথানা মিথারী, মাস্টার ট্রেইনার ডানু মানোথ্যাইং প্রমুখ।

স্মার্ট ব্রেইনের পক্ষে আয়োজকরা বলেন, মোট ৮টি ধাপের সমন্বয়ে স্মার্ট ব্রেইন সিস্টেম গঠিত। সপ্তাহে মাত্র ২ ঘণ্টার একটি ক্লাস করে, তিনমাসে একটি করে ধাপ সম্পন্ন করা যায়। এছাড়া শিক্ষার্থীর মধ্যে স্মার্ট ব্রেইনের ধাপগুলো সম্পন্ন করে মনে মনে অঙ্ক করার তীব্র সক্ষমতা তৈরি হয়। ফলে জটিল ও বড় অঙ্ক সমাধানে শিক্ষার্থীর মনোযোগ ক্রমন্বয়ে বৃদ্ধি পায়।

প্রধান অতিথি হিসেবে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ও মুক্তিযোদ্ধ অধ্যাপক ড. মকবুল আহমেদ খান বলেন, শিশুদের অবমাননা বা অবহেলা না করে তাদের মস্তিস্কের সুষম উন্নয়ন করা প্রয়োজন। তাদের রেজাল্ট খারাপ হলে অবহেলা বা কটাক্ষ না করে বরং উৎসাহিত ও সাহায্য করা উচিত। এভাবে পদক্ষেপ নিলে শিশুদের প্রতি আমরা সুবিচার করতে পারবো।

উল্লেখ্য, স্মার্ট ব্রেইন থাইল্যান্ডে ১৯৯৬ সালে শুরু হয়ে বর্তমানে বিশ্বের ১৫টি দেশে সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। আর সারা বিশ্বে ৫ লক্ষ্যের অধিক শিশু স্মার্ট ব্রেইন সিস্টেমের মাধ্যমে মেন্টাল এরিথমেটিক সফলভাবে চর্চা করছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৯
এইচএমএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।