বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এবং পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এইচ এম আমীর হোসেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানূর রহমান সরাসরি চেয়ারম্যান পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলামের পক্ষে মাঠে নেমেছেন।
আগামী ৩১ মার্চের উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে নৌকার পক্ষে মাঠে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের, নৌকা ছেড়ে সতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার করার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছেন।
এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবীদের নৌকার বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলামের পক্ষে কাজ করতে বলেছেন। তার কথামতো কাজ না করলে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেয়া হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নৌকার প্রার্থী এসএম আমির হোসেন জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর এখন আর সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছি না। কিন্তু সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী নৌকার বিপক্ষে কাজী রফিকুল ইসলামের পক্ষে বিভিন্ন জায়গায় ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। এছাড়াও কেশবপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন বাবুকে নৌকার বিপক্ষে কাজ করতে হুমকি দিয়েছেন। এজন্য আমি একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।
কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন বাংলানিউজকে বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে আমরা এ ধরণের কর্মকাণ্ড আশা করি না। নিশ্চই এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করবেন।
এ বিষয়ে জানতে ইউএনও মিজানুর রহমানের মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩২ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৯
ইউজি/ইইউডি