প্রায় ২০ মাস হাজতবাসের পর ছাড়া পেয়ে পরিকল্পনা মাফিক আইয়ুব হয়ে উঠেন ইয়াবা বিক্রেতা। তবে নতুন ব্যবসা শুরুর মাত্র দুই সপ্তাহের মাথায় তাকে আটক করেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১ এর সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) গাজীপুর সদর থানাধীন মইশাল বাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আইয়ুবকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে এক হাজার ৮৭ পিস ইয়াবা, তিনটি মোবাইল ও মাদক বিক্রির তিন হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গাজীপুরের আইয়ুব ২০১৫ সালে মাছ চাষের ব্যবসা ও জমি কেনা-বেচার দালালি শুরু করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তার নামে অস্ত্র, খুন ও বিস্ফোরকসহ অন্তত সাতটি মামলার খোঁজ পেয়েছে র্যাব।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১ এর স্কোয়াড কমান্ডার (সিপিসি-২) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সালাউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আইয়ুবের অন্যতম সহযোগী মনির খাঁ বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন। ২০১৭ সালের জুনে এক অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল যান আইয়ুব। সেখানে থাকা অবস্থায় ইয়াবা বিক্রেতা জাফরের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। আর সেই সূত্রেই তারা একসঙ্গে ইয়াবা বিক্রির পরিকল্পনা করেন।
২০ মাস পর গত ১ মার্চ জেল থেকে ছাড়া পেয়ে জাফরের পরিচয় করিয়ে দেওয়া রতন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ইয়াবা বিক্রি শুরু করেন। তিনি রতনের কাছ থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে সাইদুর, জহির, আজিজুরসহ কয়েকজনকে দিয়ে বিক্রি চালিয়ে আসছিলেন।
আটক আইয়ুবের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং তার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান এএসপি সালাউদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৯
পিএম/টিএ