বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে ওই জেলের মরদেহ পাথরঘাটায় নিয়ে আসা হয়। এর আগে বুধবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আল-আমিন বরগুনা জেলার সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের মরখালী গ্রামের আ. ছত্তার মিয়ার ছেলে।
নিহতের ছেলে জেলে আসাদ ও মানিক জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাগরে ফেলানো জাল টানার সময় হঠাৎ ১০ থেকে ১৫ জনের সশস্ত্র জলদস্যু বাহিনী সেলিম খানের মালিকানা এফবি তামান্না ট্রলারের উঠে কোন কিছু না বলে গুলি ছুড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই ওই ট্রলারের মাঝি আল-আমিন মারা যান। এসময় ট্রলারে থাকা ১২ জেলেকে পিটিয়ে আহত করে তারা। এরপর জেলেরা চিৎকার করলে ট্রলারে থাকা লাখ টাকার রসদ সামগ্রী লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায় জলদস্যু বাহিনী।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আহত জেলেদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জলদস্যুদের নাম-পরিচয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফ শিকদার বাংলানিউজকে বলেন, নিহত জেলের বাড়ি বরগুনায়, কিন্তু ঘটনাস্থল শরণখোলা থানা এলাকায়। সংশ্লিষ্ট থানার কর্তৃপক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
মরদেহ ময়না-তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। নিহতরে শরীরে দেশীয় তৈরি বন্দুকের ছররা গুলির অসংখ্য ক্ষত চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৯
জিপি