শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে অনশনকারীদের নিয়ে ভুখা মিছিল করা হয়েছে। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে স্মৃতি চিরন্তন, মল চত্বর, কলা ভবন, মধুর ক্যান্টিন, ‘নুর চত্বর’ হয়ে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়।
এসময় মিছিলে ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের ভিপি পদপ্রার্থী লিটন নন্দী, স্বতন্ত্র জোটের ভিপি প্রার্থী অরণি সেমন্তি খান যোগ দেন।
এসময় শিক্ষার্থীদের ‘সন্তান যখন মেডিকেলে ভিসি কেন বাসায়, ‘ভিসিত্র নির্বাচন’সহ বিভিন্ন ধরনের প্লাক্যার্ড বহন করেন।
মিছিলে আল-মাহমুদ তাহা নামে এক অনশনকারী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মিছিল শেষে লিটন নন্দী বলেন, নৈতিক জায়গা থেকে আমরা এখনো মনে করি এটি ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন, জালিয়াতির নির্বাচন। তাই এ নির্বাচন বাতিল করে পুনঃতফসিল দিতে হবে। আমরা এ দাবিতে আন্দোলন করছি। আর যারা অনশন করছে তারাও একই দাবি।
তিনি ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি নুরের গণভবনে যাওয়া-না যাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, নুর গণভবনে যাবেন কি যাবেন না, শপথ নেবেন কি নেবেন না সেটা তার ব্যাপার। তাকেই এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা তার ওপর কোনো প্রেসার তৈরি করতে চাই না।
আগামী সোমবার (১৮ মার্চ) জোটের পক্ষ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান লিটন নন্দী।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬ টা থেকে প্রথমবারের মতো রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেন সাত শিক্ষার্থী। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আমরণ অনশন’ ব্যানারে চলমান এ অনশনে শুক্রবার অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনজন। তারা হলেন- তাহা আল মাহমুদ, মীম আরাফাত মানব ও দৃষ্টিপ্রতিবন্দী রবিউল। এর মধ্যে হাসপাতাল থেকে ফিরে এসে পুনরায় অনশনে বসেছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রবিউল।
অনশনের চারদিন পার হতে চললেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের অনশন ভাঙার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেন নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৯
এসকেবি/ওএইচ/