ঢাকা, সোমবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকীর উৎসব শুরু

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৯
বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকীর উৎসব শুরু ৭ই মার্চের ভাষণ দিচ্ছে শিশুরা-ছবি-জি এম মুজিবুর

ঢাকা: জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের মঞ্চে শিশুদের কণ্ঠে ৭ই মার্চের অবিনাশী ভাষণ উচ্চারণের মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকীর উৎসব শুরু হয়েছে।

রোববার (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পথে বাংলাদেশ’ বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের যাত্রা শুরু করলো সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘মুক্তির গান’।  

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হৃদয়ে যা ধারণ করতেন, তিনি সেটা বলেছিলেন ৭ই মার্চের ভাষণ। যেসব শিশু ৭ই মার্চের ভাষণের এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন, তারাও ভাষণকে হৃদয়ে ধারণ করেছেন। এই শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। যাদের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। ইতিহাস মনে না রাখলে একটি জাতি কখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। কেউ একজন বেতারে বসে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেই স্বাধীনতা আসে না। বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণেই স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। তিনি কিভাবে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে, তারও দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন।

সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণ যেদিন শুনেছিলাম, সেদিনই বলেছিলাম এটি বিশ্বের সেরা ভাষণ। আজকের অনুষ্ঠানে আমি এসেছি দু’টি কারণে। একটি হলো ছোটবেলায় বঙ্গবন্ধুর যে স্নেহ-ভালোবাসা পেয়েছি তার কিছুটা শোধ করতে। আরেকটি হলো বঙ্গবন্ধুর হত্যা ঠেকাতে না পারার যে গ্লানি তা মোচন করা।  

পুরস্কার হাতে অতিথিদের সঙ্গে শিশুরা-ছবি-জি এম মুজিবুরঅনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ নিয়ে ‘সেই অবিনাশী উচ্চারণ’ প্রতিযোগিতার সার্বিক সমন্বয়ক শিবলী হাসান প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু তুলে ধরেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে শীর্ষ ৫০ জন শিশুর ভাষণের ভিডিও কোলাজ প্রদর্শন করা হয় বড় পর্দায়। সাংস্কৃতিক সংগঠন বাতিঘরের শিশুশিল্পীদের পরিবেশনায় ছিলো গীতিনাট্য ‘কখন আসবে কবি’ ও ‘শোনো একটি মুজিবুরের ধ্বনি’ পরিবেশিত হয়।  

এরপর সারাদেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে প্রথম সাত প্রতিযোগী পরিবেশন করেন ৭ই মার্চের ভাষণ। তারা হলেন-আব্দুল্লাহ আল হাসান, সাদমান সাকিব নাবিল, আল-হাসনাত মাসুম শিহাব, সানজিদা আহমেদ তমা, আরাফাত আশিক নিহাল, ইফতেখারুল ইসলাম অর্পূব ও ফারহান সাদিক সামি।

এরপর ছিলো সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ পর্ব। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য সাদেক খান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম ও লায়লা হাসান, সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ আরাফাত, শহীদ পরিবারের সন্তান শাওন মাহমুদ, মুক্তির গানের উপদেষ্টা সেলিম রেজা ও ফারজানা রূপা, মুক্তির গানের সম্পাদক শাকিল আহমেদ এবং সমন্বয়ক নবেন্দু নির্মল সাহা জয়।

অতিথিরা ওই সাত শিশুর পাশাপাশি সেরা তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ময়মনসিংহের নান্দাইলের দরিল্লা-গয়েশপুর আ. হামিদ জুনিয়র হাই স্কুল, ঢাকার বশির উদ্দিন আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং মোহাম্মদাবাদ ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসাকে পুরস্কৃত করা হয়।

বক্তব্য ও পুরস্কার প্রদান পর্ব শেষে জাদুশিল্পী লিটন শিশুদের জন্য পরিবেশন করেন জাদু। এরপর কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের উপন্যাস ‘৭ই মার্চের বিকেল’ অবলম্বনে নৃত্যনাট্য পরিবেশন করেন ‘নৃত্যম’র শিল্পীরা। যার পরিচালনায় ছিলেন নৃত্যশিল্পী তামান্না রহমান। অনুষ্ঠানে দলীয় পরিবেশনায় অংশ নেয় বহ্নিশিখা। দলটির শিল্পীরা সম্মিলিত কণ্ঠে গেয়ে শোনান ‘ওই মহামানব আসে’, ‘শোন একটি মুজিবুরের থেকে’সহ বেশ কয়েকটি গান।

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৯
এসই/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।