রোববার (১৭ মার্চ) রাতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আজাদ মিয়া সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের জলালপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে।
আজাদ মিয়ার স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাত ১০টা সুনামগঞ্জ শহরের পিটিআই এলাকায় দুর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলার শিকার হন আজাদ মিয়া। পরে স্থানীয়রা তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এর প্রায় ৪ দিন পর রোববার রাত ৮টায় মৃত্যুর কাছে হার মানেন তিনি।
হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক সালহীন চৌধুরী শুভ বলেন, ২০১৮ সালে সদর উপজেলার হাওরের ৬টি অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন আজাদ মিয়া। পরে আদালত মামলাটিকে তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠায়। মামলার বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে। এ নিয়ে স্থানীয় একটি পক্ষ তার উপর ক্ষুদ্ধ ছিল।
আজাদ মিয়ার ভাই আজিজ মিয়া বলেন, হাওরের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের জলালপুর গ্রামের উকিল আলীসহ কয়েকজন আমার ভাইয়ের উপর ক্ষুদ্ধ ছিল। আমারা মনে করছি উকিল আলী ও তার সহযোগিরা এই হামলা চালিয়েছে। আমরা ভাইয়ের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্থ ছিলাম, এজন্য হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানাতে পারিনি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) মো. শহীদ উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, হামলা এবং মৃত্যুর বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৯
এইচএমএস/এমকেএম