দোল পূর্ণিমার রাতে আনুষ্ঠানিভাবে বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের মাজারে তিন দিনব্যাপী এ স্মরণোৎসবের উদ্বোধন করা হবে। এ স্মরণোৎসবকে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি লাখো বাউল ভক্তদের আগমন হবে লালন আঁখড়াবাড়িতে।
এবারের আয়োজনে মরমী সাধক বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির অমর বাণী ‘মনের গরল যাবে যখন, সুধাময় সব দেখবি তখন’-এ প্রতিপাদ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় লালন একাডেমির আয়াজনে এ লালন স্মরণোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ স্মরণোৎসব ও গ্রামীন মেলা শুরু হয়ে চলবে চলবে ২২ মার্চ শুক্রবার পর্যন্ত।
প্রথম দিনে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে স্মরণোৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
আলোচনাসভা শেষে মঞ্চে শুরু হবে বহুল প্রতিক্ষিত লালন সঙ্গীত। গাইবেন লালন একাডেমির শিল্পীরাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা খ্যাতনামা বাউল শিল্পী ও ভক্তরা।
বাউল সম্রাট লালন শাহের জীবদ্দশায় চৈত্র মাসের প্রথম সপ্তাহে পূর্ণিমার রাতে দোলপূর্ণিমার উৎসব পালন করা হতো। সেই থেকে লালন ভক্তরা প্রতি বছরই তাদের কাঙ্খিত এ উৎসব পালন করে থাকে।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, লালন স্মরণোৎসব ও গ্রামীন মেলাকে কেন্দ্র করে মাজার প্রাঙ্গন ও তার আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুরো মাজার এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। জেলা পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা পুলিশ এর পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। সেই সঙ্গে দায়িত্বে থাকবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৯
আরএ