‘নিরাপদ সড়ক চাই’ স্লোগান আবরার আহমেদ চৌধুরীর ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচারে
ঢাকা: গত বছরের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বেপরোয়া বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর দেশজুড়ে নিরাপদ সড়ক দাবিতে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, সেই আন্দোলনে শামিল ছিলেন তিনিও। কিন্তু সড়ক আর নিরাপদ হলো না, সেই আন্দোলনের পর অনেক ‘আশ্বাস-প্রতিশ্রুতি’ মিললেও বছর গড়ানোর আগেই সড়কে প্রাণ হারাতে হয়েছে আবরার আহমেদ চৌধুরীকে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে প্রগতি সরণির নর্দ্দা এলাকায় সুপ্রভাত পরিবহনের বেপরোয়া বাসের চাপায় নিহত হয়েছেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র আবরার।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আব্দুল আহাদ বাংলানিউজকে জানান, আবরার তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে উঠতে যাচ্ছিলেন।
এ সময় সদরঘাট থেকে গাজীপুরগামী সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস আবরারকে চাপা দেয়। তাকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক আবরারকে মৃত ঘোষণা করেন। আবরারের ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে গিয়ে দেখা যায়, গত বছরের ২৯ জুলাইয়ের ওই ঘটনার পর নিরাপদ সড়ক দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করলে তিনিও সেই দাবিতে শামিল হয়ে ২ আগস্ট দুপুরে প্রোফাইল পিকচারে সংযুক্ত করেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ স্লোগান।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় তিনি শিক্ষার্থীদের দাবি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তুলে ধরার পাশাপাশি সেসময় এই আন্দোলন ঘিরে সংবাদমাধ্যমের অনেক প্রতিবেদন এবং ছবিও শেয়ার করেন আবরার।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে সোচ্চার সেই আবরারই সড়কে প্রাণ হারানোয় প্রগতি সরণির নর্দ্দা-কুড়িল চৌরাস্তার মাঝামাঝি সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভে নামেন তার সতীর্থরা। এতে সড়কের দুইপাশে দেখা দেয় যানজট। বন্ধ হয়ে যায় বাড্ডা-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কে যান চলাচল।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৯
এইচএ/
** বাসচাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, সড়ক অবরোধ
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।