কমিটি সেদিন গাড়িবহরে থাকা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের (আনসার ও বিজিবি) সঙ্গে কথা বলে এবং পুরো ঘটনা জানার চেষ্টা করে। ঘটনার আগে ও পরের অবস্থা এবং সাজেকের ভোট কেন্দ্রে কোনো সমস্যা হয়েছিল কি-না, তাও জানার চেষ্টা করে।
এরপর ১২টার দিকে তদন্ত কমিটির সদস্যরা বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে সেই ঘটনায় আহতদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি ঘটনার আদ্যোপান্ত শোনেন। চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন তারা।
পরিদর্শনকালে কমিটির প্রধান দীপক চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, তারা ঘটনার সবদিকের খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছেন। কী ঘটেছিল, কিভাবে ঘটলো, কারা এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে, তাও খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
দীপক চক্রবর্তী বলেন, প্রাথমিকভাবে যেটা মনে হয়েছে ঘটনাটি প্ল্যানড অ্যাম্বুশ (আগে থেকে ওঁৎ পেতে থেকে পরিকল্পিত কায়দায় হামলা) ছিল।
আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যেই তদন্ত রিপোর্ট উপস্থাপন করা হবে এবং প্রয়োজন হলে আরও সময় চাওয়া হতে পারে বলেও জানান তদন্ত কমিটির প্রধান।
গত ১৮ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাজেক এলাকায় দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে বাঘাইছড়ি সড়কের ৯ কিলো এলাকায় হামলার শিকার হন নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সন্ত্রাসীদের নির্বিচারে বার্স্ট ফায়ারে সাতজন নিহত হন, আহত হন আরও বেশ ক’জন। ঘটনার পরের দিনই চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৯
এডি/এইচএ/