বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সুজয় দেবনাথ মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভারাড়িয়া ইউনিয়নের কাকুরিয়া গ্রামের ইতালী প্রবাসী সঞ্জয় দেবনাথের ছেলে।
সুজয়ের মা বাসন্তী দেবনাথ জানান, তার স্বামী সঞ্জয় দেবনাথ পাঁচ বছর ধরে ইতালী প্রবাসী। গত দুইমাস আগে তিনি বাড়িতে এসেছিলেন। ২০ দিন থেকে আবার চলে গেছেন। সোমবার দুপুর ছেলে সুজয়কে বাসায় রেখে তিনি পুকুরে গোসল করতে যান। সেখান থেকে এসে আর সুজয়কে বাড়িতে পাননি। এরপর গ্রামসহ আশেপাশের এলাকায় খোঁজাখুজি করে না পেয়ে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
অন্যদিকে সুজয়ের মরদেহ উদ্ধার করার পর তাকে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মা বাসন্তি দেবনাথ এবং গ্রামবাসী। সুজয়েরে বড় চাচা রঞ্জিত দেবনাথ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তোলেন।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী অভিযুক্ত রঞ্জিত দেবনাথের বাড়ি ভাংচুরসহ তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করেন। খবর পেয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত ও শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হানিফ সরকার বাংলানিউজকে বলেন, নিহত শিশুর মা বাসন্তী দেবনাথ এবং এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রঞ্জিত দেবনাথ, তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৯
কেএসএইচ/ওএইচ/