বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে সচিবালয় থেকে হাইকোর্ট মোড়ের সার্ক ফোয়ারা পর্যন্ত অবস্থান নেন তারা। টানা ৬ ঘণ্টার এ অবস্থানে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে সচিবালয় ও পল্টন এলাকায়।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এমপিওভুক্তির দাবিতে বুধবার সকাল ৯টা থেকে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। এরপর বেলা১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে পদযাত্রা করে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন।
কিন্তু পুলিশি বাধার মুখে তাদের পদযাত্রা সেখানেই থমকে যায়। তখনই রাস্তায় বসে পড়েন শিক্ষক-কর্মচারীরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল, সদরঘাট ও গুলিস্তান থেকে আসা শাহবাগ অভিমুখী গাড়িগুলো জিরো পয়েন্ট হয়ে সচিবালয়ের রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। তবে পল্টন মোড়, কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় দেখা দেয় তীব্র যানজট। অনেক পথচারীকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওয়ানা হতে দেখা যায়। প্রশাসন থেকে আন্দোলনকারীদের রাস্তা ছেড়ে দিতে বলা হলেও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাস্তা ছাড়বেন না বলে জানিয়ে দেন।
পাবনা থেকে আসা হান্ডিয়াল কলেজের শিক্ষক আবু তাহের বাংলানিউজকে বলেন, ১৯৯৮ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের পড়িয়ে আসছি। আজ পর্যন্ত এমপিওভুক্ত করা হয়নি আমাদের। এর আগে আশ্বাস দেওয়া হলেও কাজ হয়নি। আমরা দাবি আদায় না করে বাড়ি ফিরবো না, রাস্তায় অবস্থান নিয়ে থাকবো।
নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বাংলানিউজকে বলেন, আমরা পুরোপুরি শান্তিপূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে পদযাত্রা করতে চাইলে আমাদের আটকে দেওয়া হয়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চাই, তাকে আমরা আমাদের কথা জানাতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবো না।
ডলার বলেন, এর আগে ২০১৮ সালের ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব আমাদের আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। আমরা ঘরে ফিরে যাই। কিন্তু দাবি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের ধারণা প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি জানানো-ই হয়নি। আমরা আজ প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের মাধ্যমে তাকে বিষয়টি অবহিত করতে চাই। আমাদের বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেলে তিনি এ দাবি মেনে নেবেন।
এদিকে শিক্ষক-কর্মচারীদের রাস্তায় অবস্থানের কারণে ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সদরঘাট-মিরপুর রুটে চলাচলকারী বিহঙ্গ পরিবহনের হাজী আবুল কাশেম নামে এক যাত্রী বলেন, ফার্মগেট যাওয়ার জন্য দুই ঘণ্টা আগে গুলিস্তান থেকে গাড়িতে উঠেছি। সচিবালয় পার হতে পারিনি এখনো। রাস্তা ছেড়ে বিকল্প স্থানে আন্দোলন করা উচিত সবার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৯
ইএআর/এইচএ/