বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দু’দিনব্যাপী ‘তৃতীয় সংগীত উৎসব’ এর সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি মনে করি এই বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এর মূল ভিত্তি গড়ে উঠেছে ২০১১ সালে।
তিনি আরও বলেন, লক্ষ করলে দেখা যাবে জগন্নাথের অতীতের ঐতিহ্যের সঙ্গে মাঝের ৩০ বছরে কোনো মিল নেই। পুরান ঢাকায় বিউটি বোর্ডিংসহ পুরাতন অনেক কিছুই আছে। কিন্তু তা আর আগের মতো নেই। বলা যায় পুরান ঢাকার নিজ সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে যাচ্ছিল কিন্তু আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পুরান ঢাকার ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করছে। এবং তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের ঐতিহ্যকে সরিয়ে নতুন ঐতিহ্যের ভিত্তি স্থাপন করে পুরান ঢাকার সংস্কৃতিকে সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
এর আগে উৎসবের দ্বিতীয় দিন সকাল ১১টায় সংগীত বিষয়ক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সংগীত বিভাগের অধ্যাপক ড. অসিত রায় এবং আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ) এর প্রাক্তন অধ্যাপক ড. আ বা ম নুরুল আনোয়ার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম।
এরপর বেলা সাড়ে ১২টায় দেশের প্রখ্যাত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী ও রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী মিতা হককে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সংগীত পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।
সবশেষ দুপুর ৩টায় শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে পরিবেশন করেন দেশবরেণ্য শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, সুবীর নন্দী, কিরণ চন্দ্র রায়, লাইসা আহমেদ লিসা, মোহাম্মদ শোয়েব, রাজরূপা চৌধুরী (সরোদ), স্বাগতা মুখার্জী (শাস্ত্রীয় সংগীত, ভারত), সুপ্রিয়া দাশ (শাস্ত্রীয় সংগীত), বিট্টু নৃত্যগোষ্ঠী (ভারত), শুষেণ রায় (তবলা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৯
কেডি/আরআর