বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে নেপালের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন ওই ৮৮ তরুণ। কাঠমান্ডু থেকে সড়ক পথে ইটাহারিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাদের।
নেপালের ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ওয়াইডিসি.), স্যানিটেশন এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড এনার্জি (এসইই) এবং বাংলাদেশের ইয়ুথ ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওয়াইডিডি) নামের তিনটি সংগঠন যৌথভাবে ২য় নেপাল-বাংলাদেশ ইয়ুথ কনক্লেভের আয়োজন করেছে। গত বছরের জুনে কাঠমান্ডুতে ১ম নেপাল-বাংলাদেশ ইযুথ কনক্লেভ অনুষ্ঠিত হয়।
তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। সম্মেলনে ৮৮ জন বাংলাদেশি তরুণের পাশাপাশি শতাধিক নেপালি তরুণ প্রতিনিধি অংশ নেবেন। এছাড়াও ভারত, আফগানিস্তান, ভুটান ও শ্রীলঙ্কা থেকে আরো ২৫ জন তরুণ পর্যবেক্ষক হিসেবে যোগ দেবেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সম্মেলনের যৌথ আয়োজক ইয়ুথ ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সাধারণ সম্পাদক ও ২য় নেপাল-বাংলাদেশ ইয়ুথ কনক্লেভ বাংলাদেশের কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর বাপ্পাদিত্য বসু।
বাংলাদেশের তরুণ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, বিইউবিটি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, এটুআই প্রোগ্রামের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ফার্মাসিস্ট, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও দলিত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সাংস্কৃতিক সংগঠক, বিভিন্ন ইয়ুথ ক্লাবের প্রতিনিধিরা।
২৯ মার্চ সকাল ৯টায় প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন নেপালের ১ নং প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শেরধান রাই। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর তিনটি সেশনে মোট ৭টি বিষয়ের ওপর সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এসব সেমিনারে দুই দেশের তরুণ প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য উপস্থাপন করবেন।
সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়গুলো হলো- এসডিজি, গুড গভর্নেন্স অ্যান্ড ইয়ুথ; ট্রেড, ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম প্রোমোশন; ইয়ুথ পার্টিসিপেশন, এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড পলিসি অ্যারেঞ্জমেন্ট; ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ন্যাচারাল ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট; এন্টারপ্রিনিউয়ারশিপ, ফিন্যান্সিয়্যাল এক্সেস অব ইয়ুথ অ্যান্ড কোঅপারেটিভ; জেন্ডার, সোশ্যাল ইনক্লুশন অ্যান্ড সোশ্যাল জাস্টিস; মাইগ্রেশন অ্যান্ড হিউম্যান ট্রাফিকিং।
সেমিনারের বাইরেও স্থানীয় জনসাধারণ ও স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর সাথে বিভিন্ন সামাজিক বিষয়াবলি নিয়ে মতবিনিময়, বাংলাদেশ-নেপাল প্রীতি ফুটবল ও ক্রিকেট ম্যাচ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে এ সম্মেলনে।
৩১ মার্চ সম্মেলনের শেষ দিনে সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হবে। সমাপনী অনুষ্ঠানে নেপাল ন্যাশনাল ইয়ুথ কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান মাধব ধুঙ্গেল প্রধান অতিথি এবং ইটাহারি মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের মেয়র শিব ধাকাল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯
এসএইচএস/এমজেএফ