শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্ধমান। তিনি বলেন, বিকেলেই আমরা পুলিশের কাছে ভবনটির দায়িত্ব হস্তান্তর করি।
এদিকে যথারীতি ভবনটির সামনে ও পেছন দিকে নিরাপত্তা বেস্টনি দিয়ে কর্ডন করে রেখেছে পুলিশ। বিকেলে ভবনটির বিভিন্ন ফ্লোর এবং অফিস মালিক ও মালিকদের প্রতিনিধিদের নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেছিল পুলিশ। সেখানে পাওয়া কিছু জিনিসপত্র ও মালামাল স্ব স্ব মালিকদের কাছে তাৎক্ষণিকভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে আবারো বন্ধ আছে ভবনে প্রবেশ।
এদিকে গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোস্তাক আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ভবনটি এখন একরকম সিলগালা অবস্থায় আছে। বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল পরিদর্শন করে যে প্রতিবেদন দেবেন তার ওপর নির্ভর করছে ভবনটি খুলে দেওয়া হবে কি-না তার সিদ্ধান্ত। এমনকি আমাদের পুলিশের কোনো টিমও ভেতরে যাওয়ার এখন পর্যন্ত পরিকল্পনা বা সিদ্ধান্ত নেই। আমরা শুধু বাইরে থেকে ভবনটির নিরাপত্তা দিয়ে যাবো।
তবে ফায়ার সার্ভিস বা অন্য কোন সংস্থা যদি ভেতরে যেতে চায় তাহলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে সেটি দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। অর্ধশতাধিক মানুষ দগ্ধ ও আহত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা মার্চ ২৯,২০১৯
এসএইচএস/জেডএস