শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টায় বাড়ির মসজিদের পাশে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
এরআগে, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত ৩টার দিকে পারভেজ সাজ্জাদের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
মো. পারভেজ সাজ্জাদ কাশিয়ানী উপজেলার মাহেশপুর ইউনিয়নের বলুগ্রাম গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ছিলেন। গ্রামে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য তিনি জায়গা দিয়েছেন। নিজের অর্থে এলাকায় অনেক উন্নয়নও করেছেন। তিন ভাই-বোনের মধ্যে পারভেজ সাজ্জাদ ছিলেন দ্বিতীয়। তিনি ওই টাওয়ারের ১১ তলায় অবস্থিত শ্রীলংকা ভিত্তিক স্কীন ওয়েল কোম্পানিতে সিনিয়র ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ছোট ভাই পারভেজ খসরু বাংলানিউজকে জানায়, বাবা-মা মারা যাবার পর সবকিছুই তার বড় ভাই দেখাশোনা করতেন। নিহতের একমাত্র ছেলে সিয়াম মৃধা এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। ওই দিন সকালে বাবা-ছেলে অন্য কাজে বেরিয়ে ছিলেন। কাজ শেষ করে ছেলেকে বাসায় রেখে তিনি অফিসে যান। এটাই তার শেষ যাওয়া হবে এটা কি আর তিনি ভাবতে পেরেছিলেন? বাবা-ছেলের সঙ্গে এটাই শেষ দেখা।
পাশের গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের বলুগ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মধ্যে এমন ভালো মানুষ খুব বেশি নেই। আমরা একজন মানুষ নয়, একটি রত্ন হারালাম।
নিহত পারভেজ সাজ্জাতের ভগ্নিপতি বেলায়েত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সাজ্জাদ অনেক ভালো মনের মানুষ ছিলেন। আত্মীয়-স্বজন পাড়া প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে সু-সম্পর্ক বজায় রেখে চলতেন। ওর এভাবে চলে যাওয়া কেউ মেনে নিতে পারছে না।
পারভেজ সাজ্জাদের চাচা কুদ্দুস মৃধা বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে আমরা খবর পাই, সাজ্জাদ মারা গেছেন। ওর মৃত্যুর খবরটি মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বহু মানুষ রাত থেকেই আমাদের বাড়িতে আসতে থাকে সাজ্জাদকে শেষবারের মতো দেখবেন বলে। গভীর রাতে ওর মরদেহ যখন বাড়িতে পৌঁছায়, তখন চারিদিকে শোকের আবহ। ছোট-বড় সবার প্রিয় মানুষ ছিলেন সাজ্জাদ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
এনটি