শুক্রবার (২৯ মার্চ) সিলেট শহরের একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সিলেট জেলা প্রেসক্লাব।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের হয়রানি রোধে বিমানবন্দরগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রবাসীদের হয়রানি রোধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেওয়া বেশকিছু সিদ্ধান্ত অন্যতম হলো এটি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে সিলেট অনেক পিছিয়ে রয়েছে। সিলেটকে শিক্ষার দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আরও স্কুল-কলেজ নির্মাণ প্রয়োজন। সিলেটের যেসব এলাকায় প্রাইমারি স্কুল নেই, সেখানে কেউ যদি জায়গা দেয় তাহলে স্কুল করে দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে সিলেটে ১৫টি নতুন ভবন ও ৩টি মাদ্রাসার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১২৮টি কলেজেরও বিশেষ অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এরমধ্যে এমসি, মদন মোহন সরকারি কলেজ ও মৌলভীবাজার কলেজ ৮ কোটি টাকা করে পাবে। বাকিগুলো আড়াই থেকে ৫ কোটি টাকা করে পাবে। আর এটা সম্ভব প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক থাকার কারণে।
অনলাইনে সার্টিফিকেট সত্যায়িতসহ অন্যান্য কনস্যুলার সেবা অতি অল্প সময়ে দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে সার্টিফিকেট সত্যায়িত করার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনলাইনে তাদের ডাটাবেজের মাধ্যমে দ্রুত স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট সত্যায়ন করতে হবে। বিদেশে বাংলাদেশি মিশনে ২৪ ঘণ্টা হটলাইন চালু করা হবে।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছি। আমরা চাই বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে এবং সেখানে সবাই সুখে-শান্তিতে থাকবে। সিলেটের স্বাস্থ্যখাতে নাজুক অবস্থার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, সিলেটে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার বেশি। তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়ে এ হার কমাতে হবে। এক্ষেত্রে উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তাপস দাস পুরকায়স্তের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম নবেলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, আটাব সিলেটের সভাপতি আব্দুল জব্বার জলিল, বিসিবি’র পরিচালক শফিউল আলম নাদেল, সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও উত্তরপূর্ব পত্রিকার প্রধান সম্পাদক আজিজ আহমদ সেলিম, সিলেট প্রেসক্লাব ফাউন্ডেশনের সভাপতি আল আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক ও বালাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ লিয়াকত শাহ ফরিদী, ও সিলেট প্রেসক্লাব ফাউন্ডেশনের সভাপতি রেজওয়ান আহমদ। জেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, যুগভেরী পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক অপূর্ব শম্মা।
সিনিয়র সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-ইউএনবি‘র প্রতিনিধি মোহাম্মদ মহসীন, যুগান্তরের ব্যুরো প্রধান ও সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সংগ্রাম সিংহ, দৈনিক শ্যামল সিলেটের নির্বাহী সম্পাদক আবদুল মুকিত, জেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সাত্তার আজাদ, সাবেক সহ-সভাপতি মঈন উদ্দিন।
ক্লাবের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ ফয়সল আহমদ মুন্না, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক ওলিউর রহমান, দফতর সম্পাদক ইমরান আহমদ, প্রচার সম্পাদক তুহিনুল হক তুহিন, কার্য নিবাহী সদস্য এসএম রফিকুল ইসলাম সুজন, নুরুল ইসলাম, আলী আকবর চৌধুরী, সুব্রত দাস ও শাহীন আহমদ।
এছাড়া দৈনিক শ্যামল সিলেটের বার্তা সম্পাদক আবুল মোহাম্মদ, চ্যানেল নাইন ও বনিক বার্তার নিজস্ব প্রতিবেদন দেবাশীষ দেবু, প্রথম আলোর সিলেট প্রতিনিধি সুমন কুমার দাশ, রিয়েল টাইমসের সম্পাদক সাইদ চৌধুরী টিপু, ক্লাব সদস্য ও ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মামুন হাসান ও সাধারণ সম্পাদক শংকর দাস, ক্লাবের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এস সুটন সিংহ, রজত কান্তি চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
এনইউ/ওএইচ/