শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে তার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলন্সে গ্রামের বাড়ি পাবনায় পৌঁছালে শোকের ছায়া নেমে আসে।
পরিবারের একমাত্র উর্পাজনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে পাবনার সাথিয়া উপজেলার চরপাড়া গ্রামের বাতাস।
স্বজনরা জানান, আগামী শবে বরাতের ছুটিতে বাড়ি আসার কথা ছিলো রাব্বির। বাড়িতে পাকা ঘর করার জন্যে ইটের স্তূপ করে রাখা হয়েছে। রাব্বির আগুনে পুড়ে নিহত হওয়ায় সব স্বপ্নই শেষ হয়ে গেল বলে জানান স্বজনরা।
২০১৪ সালে পাবনা সরকারি অ্যাডওর্য়াড কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ করে সরকারি চাকরির জন্যে বসে না থেকে সে ঢাকার ইকু লাইন বায়ইং হাউজে র্কমজীবন শুরু করেন। তিনি বাবা-মায়রে একমাত্র ছেলে সন্তান। তার এভাবে চলে যাওয়ায় সবাই হতবাক।
এদিকে এ ঘটনার পর স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন তার দাফনের জন্যে নগদ ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এছাড়া সব ধরনরে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বজনদের। বাদ জুমা তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হন আমির হোসেন রাব্বি। তিনি পাবনার সাথিয়া উপজলোর আর-আতাইকুলা ইউনয়িনরে চরপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে। সে ওই ভবনের ১১ তলার ইকু লাইন বায়ইং হাউজে র্কমরত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৯
ওএইচ/